প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠা থাভিসিন




সাম্প্রতিককালে, প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠা থাভিসিন দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা চালু করেছেন, যা দেশের সামগ্রিক দৃশ্যপটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের একটি বিশেষ উদ্যোগ হল "অপারেশন ক্লিনসুইপ"। এই অভিযানের উদ্দেশ্য সরকারি দপ্তর থেকে দুর্নীতির হাত সরানো। অপারেশন ক্লিনসুইপ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া এবং সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল "ডিজিটাল সরকার"। এই উদ্যোগের লক্ষ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের জন্য সরকারি পরিষেবাগুলিকে আরও সহজলভ্য এবং দক্ষ করা। ডিজিটাল সরকার দুর্নীতির সুযোগ হ্রাস করে এবং নাগরিকদের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে দেয়।

"অপারেশন ক্লিনসুইপ" এবং "ডিজিটাল সরকার" ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি সিভিল সার্ভিসে শাস্তি এবং পুরস্কার ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছেন। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন সংস্থাও গঠন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের দুর্নীতি প্রতিরোধে উদ্যোগগুলি ইতিবাচক ফলাফল এনেছে। দুর্নীতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং সরকারি পরিষেবাগুলি আরও স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের নেতৃত্ব দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তবে, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের পদক্ষেপগুলিও কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। কিছু সমালোচক যুক্তি দিয়েছেন যে, তার পদ্ধতিগুলি খুব কঠোর এবং এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেয়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করার জন্য আরও বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যরা যুক্তি দিয়েছেন যে, তার সংস্কারগুলি যথেষ্ট দূর না গেছে এবং দেশ থেকে দুর্নীতিকে নির্মূল করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

সমালোচনার সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশকে উন্নত করতে হলে দুর্নীতি নির্মূল করা অপরিহার্য। তিনি বলেছেন, "দুর্নীতি আমাদের দেশের একটি ক্যান্সার। আমরা এটি বন্ধ করতে পারি না। আমাদের এটিকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।"