প্রশান্ত কিশোর, ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম। তিনি নিজেকে একজন "পেশাদার সহানুভূতিশীল" হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যিনি ভোটারদের মন এবং হৃদয় বুঝতে পারেন এবং তাদের ভোট কীভাবে প্রভাবিত করতে পারেন।
কিশোরের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল চিকিৎসা ক্ষেত্রে, কিন্তু তিনি শীঘ্রই নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০০৮ সালের গুজরাত নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের অংশ ছিলেন। তারপরে তিনি ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদীর কৌশলগত উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন।
কিশোরের ব্রেকথ্রু ২০১৪ সালে এসেছিল, যখন তিনি নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা করেন। প্রচারটি "আবেকি বার মোদী সরকার" স্লোগানকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল নির্বাচনী প্রচারগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।
২০১৪ সালের পর থেকে, কিশোর বেশ কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে কাজ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিহার, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস, জনতা দল (যুক্ত), কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথেও কাজ করেছেন।
কিশোরের কৌশলগুলির জন্য প্রায়শই প্রশংসা করা হয়। তিনি ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে তার দক্ষতার জন্য পরিচিত, তিনি স্থানীয় বিষয়গুলির উপর ফোকাস করেন এবং ভোটারদের भावनात्मকভাবে বোঝার চেষ্টা করেন।
তবে কিশোরেরপরও সমালোচনা করা হয়েছে। কিছু মন্তব্যকাররা তাকে একজন "পেশাদার খেলোয়াড়" বলে অভিহিত করেছেন, যিনি নিজে কারও প্রতি অঙ্গীকার না করে কেবল জয়ের জন্য কাজ করেন। অন্যরা তাকে "মতামত গঠনকারী" হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন, যিনি ভোটারদের মতামতকে প্রভাবিত করার জন্য মিথ্যা তথ্য এবং প্রপাগান্ডা ব্যবহার করেন।
প্রশান্ত কিশোর ভারতের নির্বাচনী রাজনীতির একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। যাইহোক, তার দক্ষতা এবং নির্বাচনী কৌশলগুলিকে অস্বীকার করা যায় না। তিনি ভারতীয় রাজনীতিকে বদলে দিয়েছেন এবং তিনি আগামী বছরগুলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হওয়া অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।