পলিগ্রাফ টেস্ট




তুমি কি জানো যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে? আমি জানি, এটা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, কিন্তু এটা সত্যিই সম্ভব। এবং যখন তারা মিথ্যা কথা বলে, তখন তাদের শরীর একটি উপায়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটাই পলিগ্রাফ টেস্টের পিছনে মূল ধারণা।
একটি পলিগ্রাফ টেস্ট একটি মেশিন ব্যবহার করে যা হৃদস্পন্দ, রক্ত ​​চাপ এবং শ্বাসের হারের মতো জিনিস পরিমাপ করে। যখন কেউ মিথ্যা বলে, তখন তাদের শরীরে পরিবর্তন ঘটে, যেমন তাদের হৃদস্পন্দ বেড়ে যাওয়া, তাদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এবং তাদের শ্বাসের হার বেড়ে যাওয়া। পলিগ্রাফ মেশিন এই পরিবর্তনগুলি শনাক্ত করে এবং তা একটি গ্রাফে রেকর্ড করে।
পলিগ্রাফ টেস্টটি প্রায়ই আইন প্রয়োগের দ্বারা ব্যবহৃত হয় যাতে মানুষ মিথ্যা বলছে কিনা তা নির্ধারণ করা যায়। তবে, এটি একটি নিখুঁত পরীক্ষা নয়। পলিগ্রাফ টেস্ট সঠিকভাবে মিথ্যাকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হতে পারে এবং এটি ভুলভাবে সত্যবাদীদের মিথ্যাবাদী হিসাবেও চিহ্নিত করতে পারে।
এর কারণ হল যে পলিগ্রাফ শুধুমাত্র শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন পরিমাপ করে, এটি মস্তিষ্কে কী ঘটছে তা পরিমাপ করে না। তাই, এটি সম্ভব যে কেউ পলিগ্রাফ টেস্টে প্রতারণা করতে পারে যদি তারা শান্ত থাকতে এবং তাদের শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
যদিও পলিগ্রাফ টেস্ট আইন প্রয়োগের দ্বারা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে এটি ভুলযোগ্য এবং এটি শুধুমাত্র চুক্তি করার বা অপরাধীদের ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
শেষ পর্যন্ত, পলিগ্রাফ টেস্ট মিথ্যাকে শনাক্ত করার একটি নির্ভরযোগ্য উপায় নয়। এটি একটি জটিল বিষয় যা অনেক বিতর্কের জন্ম দেয়। যদি আপনাকে পলিগ্রাফ পরীক্ষায় নিতে বলা হয় তবে এটিকে শুধুমাত্র একটি সরঞ্জাম হিসাবে বিবেচনা করুন যা আপনার অন্যান্য প্রমাণের সাথে একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।