গ্রীষ্মকাল আসতেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। আর মশার সাথে সবচেয়ে বড় যে ভয়টা থাকে সেটা হল ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা পশ্চিম নীল জ্বরের মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা। আজকে আমরা এই পশ্চিম নীল জ্বর নিয়েই কথা বলব।
পশ্চিম নীল জ্বর একটি ভাইরাসবাহিত রোগ যা আক্রান্ত পশু বা পাখির কামড়ে ছড়ায়। প্রধানত মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে।
মশার কামড়ের মাধ্যমে যখন ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে তখন সাধারণত কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না। তবে কখনো কখনো লক্ষণগুলো সর্দি-কাশির মতো হতে পারে। যেমন-
আবার কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাসটি মস্তিষ্ক ও সুষুম্না স্নায়ু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে মস্তিষ্কের আবরণে প্রদাহ (মেনিনজাইটিস) বা মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনকেফালাইটিস) হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর অবস্থা অনেক জটিল হতে পারে।
পশ্চিম নীল জ্বরের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে লক্ষণের উপশমের জন্য ওষুধ এবং বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে।
পশ্চিম নীল জ্বর থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে ভালো উপায় হল মশার কামড় থেকে দূরে থাকা। মশারি ব্যবহার করা, মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা এবং পুরো শরীর ঢেকে রাখা এই ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। এছাড়াও ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ করা এবং মশার উৎপাদন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
পশ্চিম নীল জ্বর একটি মারাত্মক রোগ হলেও সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই সবসময় সাবধান থাকুন এবং মশার কামড় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। সুস্থ থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।