অনেক অর্থনৈতিক তত্ত্বগুলিকে সংস্কৃতিগতভাবে নিরপেক্ষ হিসাবে দেখা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমে বিকশিত কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের তত্ত্ব এশিয়ায় খুব কমই ফলাফল দিয়েছে, কারণ এগুলি এশিয়ার সংস্কৃতিগত প্রসঙ্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
একটি প্রধান পার্থক্য হ'ল, পশ্চিমে কর্পোরেট সংস্কৃতি সাধারণত স্বচ্ছता, জবাবদিহিতা এবং স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে। এর অর্থ হ'ল পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সাধারণ সভা কর্তৃক নির্বাচিত করা হয়, এবং তাদের সংস্থার সেরা স্বার্থে কাজ করা এবং শেয়ারহোল্ডারদের কাছে জবাবদিহি করা দরকার।
এশিয়ায়, অন্যদিকে, কর্পোরেট সংস্কৃতি সাধারণত অধিকতর পারিবারিকতন্ত্রী এবং সম্পর্ক-ভিত্তিক। এর অর্থ হ'ল পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের প্রায়ই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতার পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের দ্বারা নিয়োগ করা হয়, এবং তারা সংস্থার প্রতি তাদের নিজস্ব স্বার্থের চেয়ে আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যের ফলে এশিয়ায় পশ্চিমা কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের তত্ত্বগুলি প্রয়োগ করতে অসুবিধা হয়। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমে স্বাধীন পরিচালকদের একটি বোর্ড গঠন করা প্রায়ই সংস্থাগুলির জন্য প্রয়োজনীয় হিসাবে দেখা হয়, তবে এশিয়ায় এটি প্রায়শই অসাধারণ। একইভাবে, পশ্চিমে সাধারণত শেয়ারহোল্ডারদের অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে এশিয়ায় মালিকরা সাধারণত তাদের সংস্থাগুলির উপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ রাখেন।
এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যগুলি কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের উপর যে প্রভাব ফেলে তার কয়েকটি উদাহরণ। এশিয়ার সংস্কৃতিগত প্রসঙ্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের অনুশীলনগুলি বিকাশের জন্য এগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, পশ্চিম এবং এশিয়ার মধ্যে আরও একটি প্রধান পার্থক্য হ'ল পদমর্যাদা এবং শ্রদ্ধার গুরুত্ব। পশ্চিমে, সাধারণত মানুষকে তাদের যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে বিচার করা হয় এবং পদমর্যাদা বা শ্রদ্ধার জন্য তাদের অবস্থানের উপর নয়। এশিয়ায়, অন্যদিকে, পদমর্যাদা এবং শ্রদ্ধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই সামাজিক মর্যাদা এবং অর্থনৈতিক সাফল্য নির্ধারণ করে।
এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যটি এশিয়ায় কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা হয় তার উপরও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমে, কর্মীরা সাধারণত তাদের ম্যানেজারদের সাথে খোলাখুলি ভাবে কথা বলতে উৎসাহিত হন এবং তাদের ধারণাগুলি শেয়ার করতে বাধা দেয়া হয় না। এশিয়ায়, অন্যদিকে, কর্মীরা সাধারণত তাদের ম্যানেজারদের সাথে অধিকতর শ্রদ্ধাসহকারে কথা বলেন এবং তাদের ধারণাগুলি শেয়ার করার আগে তাদের অনুমতি চাইতে পারেন।
এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যগুলি বোঝার ফলে ব্যবসাকে সফল করার জন্য এশিয়ার সংস্কৃতিগত প্রসঙ্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের অনুশীলনগুলি বিকাশ করা সম্ভব হয়। এটি স্থানীয় জনসংখ্যার প্রত্যাশাগুলি মেটাতে এবং ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনে সহায়তা করতে পারে।