পুষ্পা ২




আপ্লা হুঁ কান্তে হ্যায় মত কোল আয়। হুঁ সোনা তু রূপা হ্যায়, নাচু আজ রঙ, বদলি রাহেঙ্গে ক্যো রাং? ক্যো কাটে আজ ভী কাল ক্যো আয়েঙ্গে, আজ মেরে সঙ্গ ঝূম লে। পুষ্পা এর এই ডায়ালগ তো আপনাদের মনে আছেই। কারন প্রথম পুষ্পা ছবিটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ফলে দর্শকদের মনে দ্বিতীয় পুষ্পার প্রত্যাশা তুঙ্গে। এবার সেই প্রত্যাশার অবসান হলো। এসে গেছে পুষ্পা ২।
পুষ্পা ২ দেখতে গেছিলাম গত রবিবার। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলাম ঠিক আমার মতোই একটা সিনেমা পাগলকে। গিয়েই দেখি হলের পরিস্থিতি কেমন যেনো প্রিয় শিল্পীকে দেখার মতো উত্তেজনা। সবাই তৈরি হয়েছে পুষ্পাকে স্বাগত জানাতে। মনটা এতোই খুশিতে ভরে উঠলো, মনে হলো এই উত্তেজনাটুকুই তো আসল সিনেমা উপভোগ করার জন্য যথেষ্ট। অবশেষে শুরু হলো পুষ্পা ২। শুরুর দিকের ছোটখাটো কিছু বিরক্তিকর বিষয় বাদ দিলে মোটামুটি ভালোই শুরু হয়েছে ছবিটি।
আল্লু অর্জুন অভিনীত পুষ্পা আর রাশমিকা মান্ডানা অভিনীত শ্রী ভাল্লী দর্শকদের কাছে কতটা প্রিয় হয়ে উঠেছিল তা আমাদের কাছে অজানা নেই। দর্শকের সেই প্রিয় মানুষটি আবার ফিরে এলো দ্বিগুণ আবেগ আর দ্বিগুণ অ্যাকশন নিয়ে। ছবির প্রথম দৃশ্যে দেখা যায় জেলে আবদ্ধ পুষ্পাকে। পুষ্পার কারাগারের জীবন দেখিয়ে ছবিটার শুরু। এরপরই দেখা যায় পুষ্পার দলের সদস্যদের। তারা পুষ্পাকে মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর। বাকিটা গল্প জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই সিনেমা হলে যেতে হবে।
এবার আসা যাক ছবির বিশেষ দিকগুলো নিয়ে আলোচনায়। প্রথমত, আল্লু অর্জুনের অভিনয় দুর্দান্ত। তিনি আরেকবার প্রমাণ করে দিয়েছেন কেন তিনি এত জনপ্রিয়। তাঁর উপস্থিতি পর্দায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই থিয়েটারে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেলো। কতটা জনপ্রিয় এই মানুষটি সিনেমাটির শেষে চলে যাওয়ার সময় দর্শকদের চোখে পানি দেখে টের পাওয়া গেলো।
রশ্মিকা মান্ডানার অভিনয়ও ছিল যথেষ্ট ভালো। তিনি পুষ্পার স্ত্রী শ্রী ভাল্লীর চরিত্রে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। এই ছবিতে এই চরিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি এটাকে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
ছবির গানও বেশ ভালো। বিশেষ করে দুটি গান "শ্রী ভাল্লী" এবং "ও আঁতভা মাওয়া" দর্শকদের মুগ্ধ করবে। এই গানগুলি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
ছবির অ্যাকশন দৃশ্যগুলিও বেশ আকর্ষণীয়। বিশেষ করে ক্লাইম্যাক্সের অ্যাকশন দৃশ্যটি দর্শকদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে।
তবে ছবিটি সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। ছবির প্রথমার্ধটি কিছুটা দীর্ঘ এবং ধীর গতিতে এগোয়। এছাড়াও, ছবিতে কিছু অপ্রয়োজনীয় দৃশ্য রয়েছে যা ছবির গতি কমিয়ে দেয়।
আর বেশি কিছু বলবোনা। ছবিটির মূল কথা এটাই যে যত বড়ই অপরাধী হোক না কেন, তারও একটি হৃদয় আছে। সেখানেও ভালোবাসা, স্নেহ, আদর, মাধুর্য, মমতা সব কিছুই থাকে। তাই সবাইকে একটু সহানুভূতিশীল হতে হবে। নির্দোষদের অপরাধীদের ভিড়ে ফেলা চলবেনা।