পাসওয়ান সমাজের মানুষদের মধ্যে যেমন সহজে সংস্কার গ্রহণ করার প্রবণতা আছে, ঠিক তেমনই তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপারেও তাদের একটা অটল বিশ্বাস আছে। এই সমাজের মধ্যে শিক্ষার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিকতাও প্রবেশ করছে। ফলে তাদের অনেক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু তাদের কিছু ঐতিহ্য এমন আছে যা এখনও পর্যন্ত অটুট রয়েছে।
এই সমাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্য হল পাসওয়ানী বিয়ে। এটি একটি ব্যতিক্রমী রীতি যা শুধুমাত্র পাসওয়ান সমাজের মধ্যেই প্রচলিত। এই বিয়ের মূল তত্ত্ব হল ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারকে বিয়ের জন্য খরচ দেয়। এই খরচের মধ্যে থাকে কনের পোশাক, গয়না, দেনমোহর ইত্যাদি। এই প্রথাটি খুব প্রাচীন এবং এখনও পর্যন্ত প্রচলিত রয়েছে।
পাসওয়ান সমাজের আরেকটি ঐতিহ্য হল সমুদ। এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেখানে পাসওয়ান সমাজের মানুষেরা তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এই অনুষ্ঠানটি সাধারণত শীতের মরসুমে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি তিন দিন ধরে চলে। এই তিন দিনের মধ্যে ভক্তরা উপবাস করেন, মন্দিরে যান এবং পূজা-অর্চনা করেন।
পাসওয়ান সমাজের একটি অনন্য সাংস্কৃতিক রীতি হল কীর্তন। এটি একটি লোকগীতির আকার যেটি পাসওয়ান সমাজের মানুষেরা তাদের দেবতা ভোলা বাবা এবং জগন্নাথের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করার জন্য গায়। এই কীর্তনগুলি সাধারণত গ্রামের মন্দির বা আখড়ায় গাওয়া হয় এবং এটি একটি খুব উற்সাহজনক এবং আনন্দদায়ক অনুষ্ঠান।
পাসওয়ান সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল রামলীলা। এটি একটি নাটকের রূপ যা রামায়ণের কাহিনী বর্ণনা করে। এই অনুষ্ঠানটি সাধারণত দশেরায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি তিন দিন ধরে চলে। এই নাটকে পাসওয়ান সমাজের মানুষেরা স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে এবং এটি একটি খুব জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।