তার সাহস, দৃঢ়তা ও শক্তির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটা দেশের লাখ লাখ মানুষ। ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা পি. ভি. সিন্ধু অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার পর থেকেই দেশের গর্ব। 2016 রিও অলিম্পিকে সিলভার পদক জয়ের পর 2020 টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী এই তারকা তার উজ্জ্বল ক্রীড়া জীবনে আরও একটা পালক যোগ করলেন।
আন্ধ্র প্রদেশের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করা সিন্ধু ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি ঠিক করে ফেলেছিলেন যে তিনি একজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হবেন, এবং তিনি এই স্বপ্নের পিছনে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তার প্রতিভা এবং দৃঢ়তাকে দেখার পর তার বাবা পি. ভি. রমনা তাকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছিলেন। তিনি দ্রুত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য অর্জন করেছেন, এবং মাত্র 18 বছর বয়সেই তিনি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
সিন্ধু রিও অলিম্পিকে সিলভার পদক জয় করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন এবং তিনি অলিম্পিকে পদক জয়ী প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হয়েছিলেন। এই সাফল্যের পর, তিনি ভারতের অন্যতম প্রিয় ক্রীড়া তারকা হয়ে উঠেছেন। তিনি মোট 21টি বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন (বিডাব্লিউএফ) টাটেল জিতেছেন, যার মধ্যে পাঁচটি বিডাব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর সুপার 500 টাটেলও রয়েছে।
সিন্ধু শুধুমাত্র একজন সফল ক্রীড়াবিদই নন, তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্বও। তিনি তার সহজাত বিনয় এবং বিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি সামাজিক কাজেও জড়িত এবং তিনি নারী ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।
পি. ভি. সিন্ধু একটি অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব যিনি ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি দেখিয়েছেন যে দৃঢ় সংকল্প এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। তিনি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের একটি আদর্শ এবং একজন ভবিষ্যত তারকা।