ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের ভোটে ফ্রান্স সরকারের পতন ঘটেছে। সংসদ সদস্যরা ভোটে বিপুলভাবে বার্নিয়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেন এবং সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
প্রেক্ষাপটফ্রান্স সরকার বাজেট বিলের কারণে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংসদে বিরোধীরা বিলটির বিরোধিতা করে এবং সরকারকে অবিশ্বাসের ভোটে ফেলার হুমকি দেয়। বার্নিয়ার বাজেটে কিছু ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে বিরোধী দলগুলি তা গ্রহণ না করায় তা ব্যর্থ হয়।
ভোটঅবিশ্বাসের ভোটটি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং 577 জন আইনপ্রণেতার মধ্যে 331 জন বার্নিয়ারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। বিরোধী দলগুলি, প্রধানত ডানপন্থী এবং বামপন্থী, বার্নিয়ারের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
পরিণতিবার্নিয়ারের পতনের ফলে একটি সংবিধান সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের কাছে সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। ম্যাক্রন এখন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা সহ একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে।
বিশ্লেষণফ্রান্স সরকারের পতন অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত হিসাবে দেখা যাচ্ছে। বার্নিয়ারের সরকার তিন মাসেরও কম সময় আগে গঠিত হয়েছিল এবং তখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।
তবে, বাজেট সংকট সরকারের বিরুদ্ধে টোল নিয়েছে। বিরোধী দলগুলি বিলটির বিরোধিতা করে এবং সরকারকে অবিশ্বাসের ভোটে ফেলার হুমকি দেয়। বার্নিয়ার বাজেটে কিছু ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে বিরোধী দলগুলি তা গ্রহণ না করায় তা ব্যর্থ হয়।
ফলস্বরূপ, ফ্রান্স এখন একটি সংবিধান সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে যার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে।
মতামতফ্রান্স সরকারের পতন অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে। সরকার অস্থিতিশীলতার সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং নতুন সরকার গঠন করা কঠিন হতে পারে।
তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে এই গ্রহণ একটি ইতিবাচক কারণ হতে পারে। তারা যুক্তি দেখায় যে বার্নিয়ারের সরকার দুর্বল ছিল এবং একটি নতুন সরকার দেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারে।
এটি এখনও দেখা যাচ্ছে যে ফ্রান্স সরকারের পতনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী হবে।