বিক্রমাদিত্য সিংহ আ




বিক্রমাদিত্য সিংহ"

আমার ফেসবুক ফিডে আজকাল নিয়মিতই দেখছি বিক্রমাদিত্য সিং নামে এক ভদ্রলোকের পোস্ট। প্রথমে ভেবেছিলাম বুঝি ভারতের কোনও রাজনীতিক বা সিনেমা তারকা। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, তিনি আসলে একজন ভারতীয় বাইকার, যিনি একাই বাইক নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করছেন।
একদিন তাঁর একটা পোস্ট দেখলাম, যেখানে তিনি একটা ছবি দিয়েছেন তুষারাবৃত এক পাহাড়ের, আর তার সামনে তাঁর বাইকটা দাঁড়িয়ে আছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "শীতলতার সীমানায়"।
আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত শীতের মধ্যে একা একা বাইক চালানোর কথা ভাবতেই আমার শরীরে কাঁটা দিচ্ছে। কিন্তু বিক্রমাদিত্য সিং সেটাই করছেন। তাঁর ফেসবুক পেজে ঘুরে ঘুরে দেখলাম তিনি কত দূর দূর অঞ্চলে বাইক নিয়ে ঘুরেছেন। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া—সব মহাদেশেই তিনি তাঁর বাইকের সঙ্গে ঘুরেছেন।
আমি তাঁর পোস্টের মধ্যে ডুবে গেলাম। তাঁর লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছিল, যেন আমি নিজেই তাঁর সঙ্গে সেই সব দেশ ঘুরছি। তিনি এত সুন্দর করে তাঁর অভিজ্ঞতাগুলি বর্ণনা করেছেন যে, আমার মনে হয়েছে যেন আমি সত্যিই সেখানে উপস্থিত আছি।
তিনি একটা পোস্টে লিখেছেন, "আফ্রিকার সাহারা মরুভূমে সূর্যোদয় দেখা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। মরুভূমির সোনালি বালির উপর সূর্যের রশ্মি পড়তেই যেন পুরো মরুভূমিটা জ্বলজ্বল করে উঠল।"
আরেকটা পোস্টে তিনি লিখেছেন, "ইউরোপের আল্পস পর্বতে বাইক চালানো একটা চ্যালেঞ্জের কাজ। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলার পরে পর্বতশৃঙ্গ থেকে যে দৃশ্যটা দেখা যায়, সেটা সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়।"
বিক্রমাদিত্য সিংয়ের পোস্টগুলি আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতাগুলি আমাকে দেখিয়েছে যে, সীমাবদ্ধতায় আটকে না থেকে স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করা উচিত। তিনি একাই বাইক নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করছেন, আর আমি বসে আছি ঘরে, শুধু তাঁর পোস্ট পড়ছি। এটা কতটা অন্যায়, তাই না?
আমিও বিক্রমাদিত্য সিংহের মতোই বাইক নিয়ে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করতে চাই। তাঁর পোস্টগুলি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমিও তাঁর মতোই সাহসী হতে চাই, সীমাবদ্ধতাগুলিকে অতিক্রম করতে চাই।
তাই আমি আমার সঞ্চয়গুলি সংগ্রহ করা শুরু করব। আমি একটা বাইক কিনব এবং বিক্রমাদিত্য সিংয়ের মতোই একদিন আমিও বাইক নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বেরোব।