বক্সার বিজেন্দর সিং




মানুষ তাদের মতামত, অবস্থান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ঘটনাবলী দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়। কিছু মানুষের দ্বন্দ্বপূর্ণ অতীত রয়েছে এবং কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রমের ইতিহাস রয়েছে। কিছু লোক সাফল্যের দিকে তাদের পথ তৈরি করেছে, অন্যরা তাদের ভুল থেকে শিখেছে। একজন দুর্দান্ত ভারতীয় মুষ্টিযোদ্ধা হলেন বিজেন্দর সিং। তিনি একজন অলিম্পিক পদকজয়ী এবং পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবেও বিখ্যাত।
প্রাথমিক জীবন ও পেশাদার ক্যারিয়ার
1985 সালের 8 অক্টোबर ভারতের হরিয়ানার মাজরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিজেন্দর সিং। তিনি একটি ছোট গ্রামে একটি সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠেন। অল্প বয়সে, তিনি মুষ্টিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহী হন এবং তাঁর স্থানীয় জিমে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
বিজেন্দর সিং 2008 সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, যেখানে তিনি পুরুষদের 75 কেজি ওয়েট ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। এই অর্জন তাকে ভারতীয় মুষ্টিযুদ্ধের ইতিহাসে অলিম্পিক পদক জেতা প্রথম ভারতীয় বক্সার করে তুলেছে।
অলিম্পিকের পর, বিজেন্দর সিং পেশাদার মুষ্টিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি তার প্রথম পেশাদার লড়াই 6 অক্টোবর, 2015 তারিখে সঞ্জয় কুমারকে পরাজিত করে জিতেছিলেন। তিনি 2018 সালে WBO ওরিয়েন্টাল সুপার মিডলওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে এবং 2019 সালে WBO এশিয়া প্যাসিফিক সুপার মিডলওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
বিজেন্দর সিং একজন খুব সরল এবং ভদ্র মানুষ। তিনি তার পরিবারকে খুব ভালবাসেন এবং তার বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে ভালবাসেন। তিনি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং নির্ধারিত ব্যক্তি যিনি সর্বদা আরও ভালো করার জন্য নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানান।
সম্মান এবং পুরস্কার
বিজেন্দর সিং তার অসাধারণ কেরিয়ারের জন্য অনেক সম্মান এবং পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
  • অর্জুন পুরস্কার (2009)
  • পদ্মশ্রী (2010)
  • রাজীব গান্ধী খেল রত্ন (2010)
  • ভারতরত্না ডাঃ অম্বেদকর আন্তর্জাতিক পুরস্কার (2012)
প্রেরণা এবং উত্তরাধিকার
বিজেন্দর সিং ভারতের অন্যতম সফল মুষ্টিযোদ্ধা। তিনি ভারতীয় যুবকদের জন্য একটি প্রেরণা এবং তাদের দেখিয়েছেন যে স্বপ্ন পূরণ করা যায়, যদি আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাসী হন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি ভারতীয় মুষ্টিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন এবং আগামী বছরগুলিতেও অনেক বছর ধরে ভক্তদের অনুপ্রাণিত করবেন।
আহ্বান
বিজেন্দর সিংয়ের গল্প আমাদের শেখায় যে স্বপ্ন পূরণ করা যায়, যদি আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাসী হন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি আমাদের প্রেরণা দেন যে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি, নির্বিশেষে তারা কতটা কঠিন। সুতরাং, আপনার স্বপ্ন অনুসরণ করা শুরু করুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন। আপনি কখনো জানেন না যে আপনি কতটা দূরে যেতে পারেন।