বেঁকে, চোয়ার কী যন্ত্রণা!




বেঁকে, চোয়ার কী যন্ত্রণা! সারাদিন コンタクト দিয়ে কাজ করে ফিরে এসে, ক্লান্তির সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয়েছে চোয়ার যন্ত্রণা। বেঁকে যাওয়া চোয়া তাতে আরও বাড়ে! কারা এই বেঁকে যাওয়া চোয়ার সমস্যায় ভোগেন? যাদের চোয়া বেঁকে যায়, তারা আগে থেকেই অল্প দেখতেন। অল্প দেখার কারণে কিছু স্বচ্ছল স্তরের মানুষ চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স পড়ে থাকেন। চোয়া কন্ট্যাক্ট লেন্সের মধ্যে সদা ভিজে থাকে, তাই সেই স্থানে জীবাণু হয়। রোদের আলো, ধূলো কন্ট্যাক্ট লেন্সের মধ্যে ঢোকে। আর শুধু সেই কারণেই চোয়ার ভিতরের স্তরগুলিতে জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেড়ে গিয়ে চোয়া লাল হয়ে যায়, চোয়া বেঁকে যায়, চোয়া থেকে পুঁজ বের হয়।
প্রথমে তেমন লক্ষ্মণ না করা এই অসুখটিকে অনেক সময় যত্ন না করায় বড়ো অসুখ হয়ে যায়। চোয়ার মধ্যে জীবাণুর আক্রমণ বেড়ে যায়। চোয়ার ভিতরের স্বচ্ছতার স্তরটি (কর্নিয়া) ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায়। এরপর চোখের ভিতরে (আইরিস) সাদা ছোপ হতে থাকে। তখন চোখের সামনে দেখায় কালো দাগ। কিছু দিন পরে বেঁকে যাওয়া চোয়াটাকে আর সোজা করা সম্ভব হয় না। এমনকি অপারেশন করেও চোয়াটিকে সোজা করা হয় না আর। কারণ, ততক্ষণে চোয়ার ভিতরের স্তরগুলিতে এতোটাই ক্ষয় হয়ে যায় যে তাকে সোজা করা সম্ভব হয় না। শুধু সোজা করাই নয়, দেখার ক্ষমতাও ততক্ষণে হারিয়ে যায়। কাজেই কন্ট্যাক্ট লেন্স পড়ে থাকলে দিনে দু-তিন বার লেন্স সরিয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট ছোটখাটো বিরতি আবশ্যিক।
বেঁকে যাওয়া চোয়ার সমস্যা নিয়ে যদি কেউ কোনও চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে আসেন, তবে ডাক্তার দেখে আইড্রপ এবং প্রয়োজন হলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট দেন। প্রায় সপ্তাহ খানেকের পরে চোয়ার সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘ দিন বেঁকে যাওয়া চোয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ান, তবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থাকে। কারণ, চোয়ার জীবাণুর সংক্রমণ ধীরে ধীরে ভিতরের স্তরগুলিতে চলে যেতে থাকে। ফলে চোয়া আর সোজা হয় না এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়।
বেঁকে যাওয়া চোয়ার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স দীর্ঘ সময় পরে থাকা উচিত নয়। অবশ্যই সতর্ক থাকা দরকার।