বাঁকে সহিংসতা: কোনও ইট ছুড়ে মারার দরকার নেই




বাঁকে সহিংসতায় কেউ গুরুতরভাবে আহত হননি। আহত বলে যারা দাবি করছে, তারা ভুল বলছে। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে সবাই। অথচ ঘটনাটা এমনই যে, এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক সরগরম চলছে। চলছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেফতারের পাল্টা গ্রেফতার।

  • মন্দিরের আলো নেভানোর সংকল্পের পরই শুরু সহিংসতা।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কি সহিংসতা ছড়ানোর কাজ করল?
  • এই ঘটনায় লোকসান কার?

কিভাবে ঘটনা ঘটেছিল, সেটা পুলিশ জানতে চাইছে। কোনও ইট ছুড়ে মারার দরকার ছিল কি? ভাবা দরকার।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অশান্তি ঠেকানোর জন্য শাস্ত্রীত উপায়ে রাস্তায় নামা উচিত ছিল। কিন্তু এ ঘটনায় রাস্তায় নেমেছিলেন কি না সে প্রশ্ন থাকছেই।

সর্বদাই ধর্মের আড়ালে লুকিয়ে থাকার চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক নেতা। নির্দিষ্ট এক তরিকায় চলা এবং জনগণের জন্য সুপথ রেখে চলা দরকার। জনগণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেবেই।

প্রতিবাদ না করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অশান্তি ঠেকানো যায় না। কিন্তু সেটা ধর্মীয় আচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক, সামাজিক কর্মসূচি কার্যকর হতে পারে।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সহিংসতা কারও কাম্য নয়। সবাই চায় সুখ-শান্তিতে নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা। ধর্ম যেমন শান্তির পথ দেখায়, তেমনই সামাজিক শৃঙ্খলাও মানুষকে শান্তি দেয়।

বিষয়টি সবারই ভাবা উচিত। কারণ, এটা কারও একার বিষয় নয়, এটা সবার বিষয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হন। কেবল ভেঙে ফেলে লাভ কারও হয় না।

সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই শুধু সব সময় দায়ী করলে চলবে না। এটাকে নিজেদের গুরুদায়িত্ব হিসেবে নিতে হবে।