বাঘিরা




কে এই কৃষ্ণ বর্ণের চিতাবাঘটিকে চিনে না? হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি "বাঘিরা" সম্পর্কে। "দ্য জাঙ্গল বুক" এর সবচেয়ে প্রিয় এবং জনপ্রিয় চরিত্রটি। কিপলিং-এর "দ্য জাঙ্গল বুক" উপন্যাসে তাকে বর্ণনা করা হয়েছে একটি "তेंदুয়া" হিসাবে, যিনি "ছেলেছোকরা" মাওগলির রক্ষক, বন্ধু এবং উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন।
তবে, "বাঘিরা" কি সত্যিই একটি তेंदুয়া ছিল?
অনেকে বিশ্বাস করেন যে "বাঘিরা" একটি "তेंदুয়া" নয়, বরং একটি "চিতাবাঘ" ("প্যান্থার") ছিল। কারণ "তेंदুয়া" এবং "চিতাবাঘ" উভয় প্রজাতিই কৃষ্ণবর্ণ হয় এবং উভয়ই "মেলেনিজম" (ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিনের উপস্থিতি) নামক একটি জিনগত ব্যাধি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। এই ব্যাধি তাদের দেহকে কালো করে দেয়।
তবে, এখানে কিছু পার্থক্য রয়েছে যা "বাঘিরা"কে "তेंदুয়া" থেকে পৃথক করে:
* আকার: "চিতাবাঘ" সাধারণত "তेंदুয়া"র চেয়ে ছোট এবং দ্রুততর হয়।
* দাগ: "তेंदুয়া"র দাগ "চিতাবাঘ"র চেয়ে বড় এবং কম ঘন হয়।
* বাসস্থান: "তेंदুয়া" সাধারণত বনের ঘনতম অংশে বাস করে, যেখানে "চিতাবাঘ" খোলা ঘাসের ময়দান এবং জঙ্গলে বাস করে।
এই পার্থক্যগুলিকে বিবেচনা করে, এটি সম্ভবত বলা যে "বাঘিরা" একটি "তेंदুয়া" ছিল, একটি "চিতাবাঘ" নয়।
"বাঘিরা"র নামের অর্থ কি?
সাধারণত "বাঘিরা" নামটি সংস্কৃত শব্দ "বঘীরা" থেকে এসেছে, যার অর্থ "বাঘ"। কিপলিং সম্ভবত এই নামটি "বাঘ" এবং "তेंदুয়া" দুটিকেই প্রতিফলিত করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন, কারণ এই দুটি প্রাণী ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
"দ্য জাঙ্গল বুক" এ "বাঘিরা"র ভূমিকা:
"দ্য জাঙ্গল বুক" এ "বাঘিরা" একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। "বাঘিরা" মাওগলিকে তার শিকার এবং আত্মরক্ষা কৌশল শেখায় এবং শेर খানের হাত থেকে তাকে রক্ষা করে। তিনি মাওগলিকে জঙ্গলের বিশালতা এবং আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেন। "বাঘিরা" মাওগলিকে মানুষের গ্রামে ফিরে যেতেও সাহায্য করে, যেখানে সে নিরাপদে বাস করতে পারে।
উপসংহার:
"বাঘিরা" "দ্য জাঙ্গল বুক" এর একটি প্রিয় এবং প্রতীকী চরিত্র। তার সাহস, বুদ্ধি এবং অনুগ্রহ তাকে সাহিত্যের সর্বাধিক প্রিয় প্রাণীদের মধ্যে একটি করে তুলেছে। তিনি আমাদের প্রকৃতির শক্তি এবং নিজের ভয়ের মুখোমুখি হওয়ার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।