বিচারপতি বি. ভি. নাগরত্না - ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের প্রথম নারী বিচারপতি




পরিচয়ঃ

বিচারপতি বিচিত্রা ভুবনেশ্বর নাগরত্না ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের বর্তমান সর্বকনিষ্ঠ ন্যায়াধীশ। তিনি ভারতের ষষ্ঠতম এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড়ের পর দ্বিতীয় মহিলা বিচারপতি।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষাঃ

বিচারপতি নাগরত্না 29 ডিসেম্বর, 1962 সালে কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলায় এক উকিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা, বিচারপতি ই. এস. ভেঙ্কটরামাইয়্যা, কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন। নাগরত্না বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন এবং 1987 সালে বার কাউন্সিল অফ কর্ণাটকায় নিবন্ধিত হন।

কর্মজীবনঃ

  • 1994 সালে, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট পদমর্যাদা প্রাপ্ত করেছিলেন।
  • 2008 সালে কর্ণাটক হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন।
  • 2010 সালে কর্ণাটক হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হন।
  • 17 মার্চ, 2021 তারিখে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন, যা ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে কোনো মহিলার সর্বোচ্চ পদ।

সুপ্রিম কোর্টে উল্লেখযোগ্য মামলাঃ

  • সাবরিমালা মামলা: মেয়েদের সাবরিমালা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
  • নির্ভয়া মামলা: 2012 সালের দিল্লি গণধর্ষণ মামলার দণ্ডিত আসামিদের দণ্ড নিশ্চিত করেন।
  • ট্রিপল তালাক মামলা: মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে ট্রিপল তালাককে অবৈধ ঘোষণা করেন।

স্বীকৃতি ও পুরষ্কারঃ

বিচারপতি নাগরত্না বিভিন্ন সংগঠন থেকে তার অবদানের জন্য স্বীকৃতি ও পুরস্কার পেয়েছেন, যেমনঃ

  • পদ্মশ্রী পুরস্কার (2021)
  • বর্ষসেরা মহিলা (2022)
  • ভারতরত্না ড. বি. আর. আম্বেডকর জাতীয় পুরস্কার (2023)

ব্যক্তিগত জীবনঃ

বিচারপতি নাগরত্না বিচারপতি সুরেশ্থ জোশীর স্ত্রী এবং তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। তিনি একজন বিদ্যাপ্রাপ্ত ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী এবং তিনি সংস্কৃত ভাষারও পারদর্শী।

উত্তরাধিকারঃ

বিচারপতি বি. ভি. নাগরত্না ভারতের আইনজগতে একটি অনুপ্রেরণা এবং দল। তিনি প্রতীকী কর্তৃত্ব এবং ন্যায়ের প্রতি তার অঙ্গীকারের জন্য সুপরিচিত। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে তার উপস্থিতি নারীদের জন্য ন্যায্যতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে এবং ভবিষ্যতের আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য একটি মডেল হিসেবে।