বিজেপি-র আসন
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত পাঁচ বছরে বিজেপির দলীয় সংগঠন ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এছাড়াও, রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান দুর্বল হওয়ায় বিজেপিকে একটি সুযোগ দিচ্ছে।
গত পাঁচ বছরে বিজেপি রাজ্যে তার দলীয় সংগঠনকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করেছে। দলটির বুথ পর্যায়ে কমিটি গঠন, সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানো হয়েছে। এছাড়াও, বিজেপি রাজ্যে বেশ কয়েকটি সংগঠন গঠন করেছে, যেমন- মহিলা মোর্চা, যুব মোর্চা ও অনুসূচিত জাতি মোর্চা। এই সংগঠনগুলি ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য দলকে সাহায্য করছে।
বিজেপি রাজ্যে তার রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও পরিবর্তন এনেছে। দলটি এখন হিন্দুত্বের মতাদর্শকে কম জোর দিচ্ছে এবং রাজ্যের উন্নয়ন এবং দুর্নীতি দূরীকরণের প্রবল承諾কে তুলে ধরছে। এটি দলকে রাজ্যের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর জন্য সাহায্য করছে।
কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান দুর্বল হওয়ার কারণে রাজ্যে বিজেপিকে একটি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস রাজ্যে একটি বিভক্ত ঘর এবং দলের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি ও অযোগ্যতার অভিযোগের সম্মুখীন। এটি বিজেপিকে দলটির ভোট ভাঙার সুযোগ দিচ্ছে।
গত কয়েক মাসে বিজেপি রাজ্যে কয়েকটি বড় রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে। গত বছর দলটি হুগলির চুঁচুড়া ও বনগাঁ লোকসভা উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, বিজেপি রাজ্যে স্থানীয় নির্বাচনে কয়েকটি আসন জিতেছে। এই সাফল্যগুলি দলকে রাজ্যে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। দলটির শক্তিশালী দলীয় সংগঠন, প্রবল রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান দুর্বল হওয়া তাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করছে। যদি বিজেপি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে, তবে দলটি রাজ্যে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে।