বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক নিতেশ রানে একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি তার বক্তব্য এবং কর্মের জন্য প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে থাকেন। তাকে সোচ্চার এবং বিনা ভয়ে তার মতামত প্রকাশের জন্যও পরিচিত।
রানে মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন অঞ্চলের এক রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর পিতা নারায়ণ রানে এক প্রবীণ রাজনীতিবিদ, যিনি বিভিন্ন মন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। নিতেশ রানে নিজেও রাজনীতিতে তুলনামূলকভাবে নবাগত, তিনি ২০১৪ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
রানে তার পিতার রাজনৈতিক পদক্ষেপ অনুসরণ করেছেন, যিনি শিবসেনা থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনিও বিজেপির একজন忠誠 সদস্য হিসাবে দেখা যায়, যদিও তিনি কিছু প্রসঙ্গে দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন।
রানে তার বক্তব্য এবং কর্মের জন্য বিতর্কিত। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সমালোচক হিসাবে পরিচিত, যাকে তিনি "অযোগ্য" এবং "অক্ষম" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক সংকট নিয়েও ঠাকরে সরকারের সমালোচনা করেছেন।
রানে যেমন বিতর্কিত, তেমনি তিনি জনপ্রিয়ও। তিনি কোঙ্কন অঞ্চলের অনেক মানুষের মধ্যে একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, যিনি তাকে একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার ব্যক্তি হিসাবে দেখেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও জনপ্রিয়, যেখানে তিনি নিজের মতামত প্রকাশের জন্য প্রায়ই ব্যবহার করেন।
রানের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মজীবন অনিশ্চিত। তিনি বিজেপিতে থাকবেন নাকি দল ত্যাগ করে নিজস্ব দল গঠন করবেন তা বলা মুশকিল। যদিও, এটা নিশ্চিত যে তিনি মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে আগামী বছরগুলিতে একটি প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন।
রানের কিছু বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্ম:
রানের কিছু জনপ্রিয় মতামত:
রানের সমর্থকরা তাকে একজন সাহসী এবং সোজাসুজি নেতা হিসাবে দেখেন, যিনি মানুষের কথা বলতে ভয় পান না। তার সমালোচকরা তাকে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসাবে দেখেন, যিনি তার নিজের প্রচারের পেছনে সত্য এবং ন্যায়কে ত্যাগ করতে ইচ্ছুক।
যাই হোক না কেন, রানে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে একটি প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হতে পারেন, কিন্তু তিনি জনপ্রিয়ও। তাঁর ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কর্মজীবন অনিশ্চিত, কিন্তু এটা নিশ্চিত যে তিনি আগামী বছরগুলিতে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে একটি প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন।