বাজারে সরকারের দাপটে একের পর এক সংস্থা লোকসানের মুখে পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশীয় বাজারেও প্রতিযোগিতা বাড়ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে টাইটানকেও। চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে সংস্থার।
ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে ক্রমাগত সোনা ও হীরার দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অনীহা তৈরি হচ্ছে। যদিও চতুর্থ প্রান্তিকে সংস্থার রাজস্ব বেড়েছে প্রায় সাত শতাংশ। তবে লোকসান হওয়ার কারণে সংস্থার কর্তৃপক্ষ চিন্তায় রয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
টাইটানের চেয়ারম্যান রতন টাটা বলেছেন, "বাজারের দুরবস্থার ফলে আমরাও প্রভাবিত হয়েছি। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তও আমাদের জন্য অনুকূল নয়। বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি আমাদের মতো সংস্থাগুলির পক্ষে মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।"
বাজার বিশ্লেষকদের মত
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, "টাইটানের লোকসানের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল বাজারের অস্থিরতা। সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং করের বোঝাও সংস্থার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
টাইটান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য নতুন নতুন পথ খোঁজা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পণ্যের পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন পণ্য চালু করার পাশাপাশি পুরনো পণ্যগুলিকেও আরও ভালো করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিকল্প বিনিয়োগ
টাইটানের লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীরা চিন্তায় রয়েছেন। তবে সংস্থা কর্তৃপক্ষ বিকল্প বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের মতে, টাইটানে বিনিয়োগ করা রিস্কি হলেও বিকল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আহ্বান
ভবিষ্যতে টাইটানের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে বাজার বিশ্লেষকরা সন্দিহান। তারা বলছেন, "বাজারের অবস্থা উন্নত না হলে এবং সরকার অনুকূল নীতি না নিলে টাইটানের পক্ষে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।"
সমগ্র বাজারেই এখন চিন্তার মেঘ। টাইটানের লোকসানের ঘটনা বাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।