বিজয়া দশমী ২০২৪




রামায়ণ, মহাভারত, বাল্মীকি এই সব নামগুলি তো আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন। এই গ্রন্থগুলিতে প্রাচীন ভারত ও ভারতীয় সমাজের অনেক কথা রয়েছে। এই সব গ্রন্থে হিন্দু দেবী দেবতাদের কাহিনী ও তাদের মাহাত্ম্যও বর্ণিত হয়েছে।

দেবী দুর্গা হলেন হিন্দু সমাজের অন্যতম প্রধান দেবী। দেবী দুর্গার জন্ম হয়েছিল মহিষাসুর নামক এক দানবকে বধ করার জন্য। মহিষাসুর অত্যন্ত শক্তিশালী ও দুষ্ট দানব ছিল।

একবার মহিষাসুর স্বর্গলোক আক্রমণ করে দেবতাদের তাড়িয়ে দেয়। দেবতারা অসহায় হয়ে সাহায্য চান দেবী মহালক্ষ্মী, মহাসরস্বতী ও মহাকালীর কাছে। তখন এই তিন দেবী মিলে দেবী দুর্গা তৈরি করেন।

দেবী দুর্গা দেবতাদের কাছ থেকে নানা রকম অস্ত্র ও কবজ পান। তারপর তিনি মহিষাসুরকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান করেন। মহিষাসুর যুদ্ধে হারিয়ে যায় এবং দেবী দুর্গা তাকে বধ করেন।

দেবী দুর্গার জয়ের স্মরণে প্রতি বছর বিজয়া দশমী উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসব দশদিন ধরে পালন করা হয়। প্রথম নয় দিন দুর্গাপূজা হিসেবে পালিত হয়। আর দশম দিন বিজয়া দশমী উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

বিজয়া দশমী উৎসবের দিন রাবণের মূর্তি পুড়িয়ে তার জয় উদযাপন করা হয়। লঙ্কা পুররাজ রাবণ অত্যন্ত অহংকারী ও দুর্বৃত্ত রাজা ছিলেন। তিনি সীতাকে হরণ করে নিজের রাজ্যে রেখে দেন। তখন রামচন্দ্র রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করে সীতাকে উদ্ধার করেন। রাবণের জয়ের স্মরণে দশেরা উৎসব পালন করা হয়।

বিজয়া দশমী উৎসব অসত্যের উপর সত্যের জয়ের প্রতীক। এই উৎসব আমাদের সবাইকে মনে করিয়ে দেয় যে, সবসময় সত্যেরই জয় হয়।