বৃজ ভূষণ শরণ সিংহ ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল উত্তর প্রদেশের জौनপুর জেলার গড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দীনদয়াল সিংহ এবং মাতার নাম অবধেশ্বরী দেবী। তাঁর পরিবার ছিল কৃষক, এবং তিনি তাঁর শৈশব গ্রামের গ্রাম্য পরিবেশে কাটিয়েছিলেন।
সিংহ একটি উজ্জ্বল ছাত্র ছিলেন এবং তিনি জौनপুরের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি হিন্দি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই দক্ষ ছিলেন।
সিংহ তাঁর সাহিত্যিক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন কবি হিসাবে। তাঁর প্রথম কবিতা সংগ্রহ, "হারা এক কথা" ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর কবিতা প্রায়শই ভারতীয় গ্রাম্য জীবন, প্রকৃতি এবং প্রেমের প্রতি গভীর ভালবাসাকে প্রতিফলিত করত।
সিংহ অসংখ্য কবিতা এবং নাটক লিখেছেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা সংগ্রহগুলির মধ্যে একটি হল "কাম্যায়নী", যা ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই কবিতাটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্প বলে এবং এটি হিন্দি সাহিত্যের একটি ক্লাসিক হিসাবে বিবেচিত হয়।
১৯৪০-এর দশকে সিংহ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং ১৯৫২ সালে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় সংসদে পাঁচ দফা দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সিংহ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর অনুসারী ছিলেন এবং তিনি দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন।
বৃজ ভূষণ শরণ সিংহের একটি অসাধারণ লেগ্যাসি রয়েছে। তিনি একজন বিখ্যাত কবি, রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তাঁর কাজ ভারতীয় সাহিত্য এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্থায়ী প্রভাব রেখেছে।
বৃজ ভূষণ শরণ সিংহের জন্মদিন, ১৫ এপ্রিল, ভারতে "হিন্দি দিবস" হিসাবে পালন করা হয়। এটি ভারতের জাতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দি প্রচারের জন্য নিবেদিত একটি দিন।
বৃজ ভূষণ শরণ সিংহকে স্মরণ করা হয় তাঁর কবিতার মাধুর্যতা, তাঁর রাজনৈতিক সৎতা এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদানের জন্য। তিনি আধুনিক ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন যার কাজ আজও ভারতীয়দের অনুপ্রাণিত করে।