বট পূর্ণিমা




প্রকৃতি সাজে নববধূর বেশে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমার রাতে এসে উপস্থিত হয় বট পূর্ণিমা।
বর্ষাকালের শুরুতেই পাওয়া যায় এই বিশেষ পূর্ণিমাটি। যখন সবুজের সমারোহে মাতোয়ারা প্রকৃতি, তখনই আসে এই পূর্ণিমা। বটবৃক্ষের পূজাকে কেন্দ্র করে এই পূর্ণিমার আয়োজন। সনাতন ধর্মে বট গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এদিন সুচারু রূপে বট পূজা করলে অখন্ড সৌভাগ্য, সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্থ দীর্ঘায়ু লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
পুরাণ মতে, এই দিন ভগবান শিব বটবৃক্ষের নিচে সাধনা করেছিলেন এবং সেই সময় দেবী পার্বতী বটবৃক্ষের আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই থেকেই এই বট পূর্ণিমার প্রচলন হয়। এই দিন সুচারু রূপে বট পূজা করলে দেবী পার্বতী ও ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
এই পূর্ণিমার দিন সকালে নদী বা পুকুরে স্নান করার প্রচলন রয়েছে। তারপর বটবৃক্ষের নিচে গিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে হয়। এদিন বটবৃক্ষের নিচে বসে কাহিনী পড়া বা শোনারও প্রচলন আছে। সন্ধ্যায় বটবৃক্ষে দীপ জ্বালানোর রেওয়াজ রয়েছে।
বট পূর্ণিমার উপকারিতা
* অখন্ড সৌভাগ্য লাভ
* সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্থ দীর্ঘায়ু লাভ
* দেবী পার্বতী ও ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া
* পাপ মুক্তি
এছাড়াও, এই পূর্ণিমায় মহিলারা নিজেদের স্বামীর সুস্থ দীর্ঘায়ু জন্য বট পূজা করে থাকেন।

আপনার আশেপাশে কোনো বট গাছ থাকলে অবশ্যই এবারের বট পূর্ণিমাটি পালন করুন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটানোও মনের জন্য খুব ভালো।