সিনেমায় মনোজ বাজপেয়ী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, একজন বয়স্ক সাংবাদিক যার মুদ্রণ সাংবাদিকতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা রয়েছে। তিনি একটি পত্রিকায় কাজ করেন যার নাম "দ্য ডেসপ্যাচ"। তিনি ও তার সহকর্মীরা এমন একটি যুগে টিকে থাকার সংগ্রাম করছেন যেখানে সংবাদপত্রগুলি ডিজিটাল মিডিয়ার কাছে তাদের পাঠকদের দ্রুত হারাচ্ছে।
সিনেমার মূল কাহিনি শুরু হয় যখন জয় একটি বড় স্কুপের খোঁজ করার দায়িত্ব নেন। তিনি একটি ড্রাগ লর্ডের হত্যার তদন্ত শুরু করেন যা বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ব্যক্তির সাথে জড়িত বলে মনে হচ্ছে। যত গভীরে জয় তদন্ত করেন, ততই তিনি বুঝতে পারেন যে সত্যটি কতটা জটিল এবং বিপজ্জনক।
দ্য ডেসপ্যাচ একটি দ্বিধান্বিত সিনেমা। এটি ভারতীয় সাংবাদিকতার উপস্থিতি এবং ভবিষ্যতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে। এটি ভারতীয় অপরাধের অন্ধকার জগতের একটি দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গিও দেয়। তবে, সিনেমাটি অত্যন্ত ধীর গতিতে, শূন্য প্লট আছে এবং দৃশ্যমানভাবে অবান্তর বলে মনে করা হয়েছে। কিছু দৃশ্য আছে যা দীর্ঘ এবং অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।
সিনেমাটির প্রধান অভিনয়শিল্পী মনোজ বাজপেয়ী। তিনি একটি নিখুঁত অভিনয় করেছেন এবং এই বিষয়টি সন্দেহাতীত যে তিনি একজন মহান অভিনেতা। তবে, কাহিনীটির দুর্বলতার কারণে তার অভিনয়ও সিনেমটিকে বাঁচাতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত, দ্য ডেসপ্যাচ দুটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ এটিকে ভারতীয় সাংবাদিকতা সম্পর্কে ভাববার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা বলে প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে অলস, অবাস্তব এবং তাৎপর্যহীন বলে অভিযুক্ত করেছেন। আপনি সিনেমাটি পছন্দ করবেন কিনা তা নির্ভর করবে আপনি কোন দলে আছেন তার উপর। যদি আপনি ভারতীয় সাংবাদিকতা বা ভারতীয় অপরাধের অন্ধকার জগতের দ্বারা আকর্ষিত হন, তাহলে আপনি এই সিনেমাটি একটি চেষ্টা দিতে পারেন। তবে, যদি আপনি একটি দ্রুতগতির প্লট এবং নৈপুণ্যের চিত্রনাট্যের খোঁজে থাকেন, তাহলে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত সিনেমা নয়।