বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডে প্রশ্নপত্রে উপস্থিত প্রশ্নের মূল্যায়নের মূলনীতি




আমার বিশ্বাস, সাহিত্যও অন্য যেকোনো বিষয়ের মতোই একটি বস্তুনিষ্ঠ বিষয়। আমরা এটি অধ্যয়ন করতে পারি, বুঝতে পারি এবং বিষয়টির প্রতি আমাদের বোধগম্যতা নিয়ে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডে প্রশ্নপত্রে উপস্থিত প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে, এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রদত্ত উত্তরের সাবলীলতা দেখে সেই মূল্যায়ন করা হয়।

প্রথমত, প্রশ্নপত্রটি প্রস্তুত করার সময় কিছু মূলনীতি অনুসরণ করা হয়। যেমন, প্রশ্নপত্রটি হতে হবে সামগ্রিক এবং সমস্ত পাঠ্যসূচি অনুসরণকারী। প্রতিটি ইউনিট থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রশ্নকর্তব্য। পাশাপাশি, এটি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রাপ্তিসাধ্য। অর্থাৎ, প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত প্রশ্নগুলি এমন হবে যা ছাত্রছাত্রীরা পাঠ্যসূচিটি সাবধানে অধ্যয়ন করার পর উত্তর দিতে পারে।

দ্বিতীয়ত, উত্তরপত্র মূল্যায়নেরও কিছু মূলনীতি রয়েছে। প্রথমত, প্রশ্নপত্রে উপস্থিত প্রশ্নের উত্তর উত্তরপত্রে স্পষ্টভাবে লেখা থাকা চাই। অর্থাৎ, উত্তরটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট হবে। উত্তরটি যদি দীর্ঘ হয়ে যায়, তবে মূল্যায়কের পক্ষে তা মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, উত্তরটি অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অর্থাৎ, উত্তরটি প্রশ্নের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। তৃতীয়ত, উত্তরটি যুক্তিযুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ, উত্তরটি উপযুক্ত যুক্তি এবং প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হতে হবে। চতুর্থত, উত্তরটি ব্যাকরণ এবং বানানগতভাবে সঠিক হতে হবে।

তৃতীয়ত, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড প্রতিবছর প্রশ্নপত্রের মান নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ, প্রশ্নপত্রটি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রাপ্তিসাধ্য এবং উত্তরপত্রের মূল্যায়নটি হতে হবে ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ। এজন্য, বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড প্রতিবছর অভিজ্ঞ শিক্ষকদের একটি দল নিযুক্ত করে প্রশ্নপত্রটি প্রস্তুত করার জন্য। একইভাবে, উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্যও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের একটি দল নিযুক্ত করা হয়। এই দলের সদস্যরা উত্তরপত্রগুলি সতর্কতার সাথে মূল্যায়ন করেন এবং প্রদত্ত মূল্যের বিষয়ে তাদের মধ্যে কোনো মতান্তর থাকলে তারা একসঙ্গে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

চতুর্থত, বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ছাত্রছাত্রীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। অর্থাৎ, ছাত্রছাত্রীরা যদি তাদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, তবে তারা সেই বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারেন। বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড তাদের আপত্তিগুলি সতর্কতার সাথে বিবেচনা করে এবং যদি আপত্তিগুলি যুক্তিযুক্ত হয়, তবে বোর্ড সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

পঞ্চমত, বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন সংক্রান্ত তথ্য তাদের কাছে প্রকাশ করে। অর্থাৎ, ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রাপ্ত নম্বর এবং গ্রেড কার্ডের মাধ্যমে জানতে পারেন। এছাড়াও, তারা তাদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য নিযুক্ত ব্যক্তির নামও জানতে পারেন। এটি একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা, যা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি করে।

ষষ্ঠত, বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অর্থাৎ, যদি ছাত্রছাত্রীরা তাদের মূল্যায়ন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আপত্তি জানায়, তবে বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড তাদের আপত্তিগুলি সতর্কতার সাথে বিবেচনা করে এবং যদি আপত্তিগুলি যুক্তিযুক্ত হয়, তবে বোর্ড সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এটি একটি সাড়াদায়ী ব্যবস্থা, যা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি করে।