যখন ইলেকট্রিক গাড়ির মতো উচ্চ-প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সংঘাত ঘটে, তখন বেদী বা পূজা স্থলের মতো প্রতীকী কাঠামোই এর প্রথম শিকার হয়। ভারতের আইআইটি কানপুরেও এই জাতীয় ঘটনা ঘটেছে।
তিনটি বেদীর এই ঘটনাটি ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বেদীগুলি একটি খোলা জায়গায় ছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বসে আড্ডা দিত। তবে কিছু ধর্মপ্রাণ ছাত্র এগুলিকে সেখানে রাখার বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি ছিল যে, এই বেদীগুলি শুধুমাত্র পূজার জন্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে এর কোনও জায়গা নেই।
অন্য শিক্ষার্থীরা এই যুক্তির বিরোধিতা করে বলেছেন যে, এই বেদীগুলি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এবং এটি কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়। তাদের মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের স্থান থাকা উচিত।
এই বিরোধিতা আইআইটি কানপুরের প্রশাসনকেও দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। কিছু কর্তৃপক্ষ বেদীগুলি সরিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী, অন্যরা মনে করছেন যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আপसी সমস্যা মেটার জন্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।
এই মুহূর্তে এই বেদীগুলির ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তবে এই ঘটনাটি আধুনিক ভারতে ধর্ম ও আধুনিকতার সংঘাতের একটি উদাহরণ হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই বিতর্কটি কোনও বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। বরং এটি ধর্মীয় আচার এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধর্মনিরপেক্ষ স্বভাবের মধ্যে সংঘাতের একটি উদাহরণ। এই ধরনের বিরোধিতা আগামী দিনেও ঘটতে থাকবে, কারণ ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়ার পাশাপাশি একটি বহুধর্মী সমাজও।
এই বিতর্কের শেষ ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি স্পষ্ট যে ভারতের মতো বহুসংস্কৃতি সমাজে ধর্ম এবং আধুনিকতার মধ্যে সংঘাত চলতে থাকবে।