বনাম ইন্ড




আমি বেশ কয়েক বছর আগে 2016-এ আইপিএলের একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম, যখন আমাদের বিপরীত দল ছিল ভারত। সেই ম্যাচ জিতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ছিলাম, কিন্তু ভারতের পক্ষে খেলা ক্রিকেটার ডিনেশ কার্তিকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি আরও অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম।

আমি বরাবরই তাঁর খেলা দেখতাম এবং তাঁকে পছন্দ করতাম। সেদিন তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আমার খুব ভালো লাগল। তিনি খুবই বিনয়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আমরা কয়েকটা ছবিও তুলেছিলাম। সেটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আবারও ভারতীয় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাব। আমি আবারও ডিনেশ কার্তিকের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় আছি। আমার বিশ্বাস, এই দুটি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে এবং আমরা আরও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখতে পাব।

বনাম ইন্ড

বাংলাদেশ এবং ভারত দুটি প্রতিবেশী দেশ, যাদের মধ্যে ক্রিকেটের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দুই দলই আইসিসি পূর্ণ সদস্য এবং টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিয়মিত একে অপরের বিপক্ষে খেলে থাকে।

যদিও ভারত সর্বদা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে রয়েছে, 2000 সালের পর থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে এবং তারা এখন ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলির মধ্যে একটি হল 2007 ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল, যেখানে ভারত বাংলাদেশকে পরাজিত করেছিল।

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল ক্রিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। উভয় দেশেরই একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস রয়েছে এবং তারা অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধনশক্তি খুবই শক্তিশালী এবং তারা ভবিষ্যতেও একে অপরকে সমর্থন করতে থাকবে বলে আশা করা যায়।


আমার মনে রাখার মতো একটি ম্যাচ

আমি যে আইপিএল ম্যাচের কথা বলেছিলাম, সেটা ২০১৬ সালের একটা প্লেঅফ ম্যাচ ছিল। আমরা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে খেলছিলাম এবং আমাদের অবশ্যই জিততে হবে।

আমরা প্রথমে ব্যাটিং করেছিলাম এবং বোর্ডে ১৮৯ রান তুলেছিলাম। এটা বেশ ভালো স্কোর ছিল, কিন্তু আমরা জানতাম যে আরসিবির ব্যাটিং লাইনআপ খুব শক্তিশালী এবং তারা এই স্কোর খুব সহজেই লক্ষ্য করতে পারে।

আরসিবির ইনিংসের শুরুটাও খুব ভালো ছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলিতে আমরা কয়েকটা উইকেট নিয়েছিলাম এবং ম্যাচটি আমাদের দিকে ঘুরে এসেছিল।

শেষ ওভারে আরসিবির ১১ রান দরকার ছিল জয়ের জন্য। আমাদের হাতে ছিল বল এবং আমরা জানতাম যে আমরা যদি শেষ উইকেটটা নিই তাহলেই জিতব।

শেষ বলে ক্রিজে ছিল ডিনেশ কার্তিক। তাঁকে আউট করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তিনি বাউন্ডারি মেরে ম্যাচটি টাই করেছিলেন।

আমরা সুপার ওভারে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সেটিও হেরে গেছি। যদিও আমরা ম্যাচটি হেরে গেছি, কিন্তু সেটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ ছিল।

এগিয়ে যাওয়ার পথ

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অব্যাহত থাকবে। দুই দলই আগামী বছরগুলিতে সবচেয়ে ভালো দলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গড়ে উঠছে এবং তারা একে অপরকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে আশা করা যায়।

ভারত বর্তমানে বিশ্বের সেরা ক্রিকেট দলগুলির মধ্যে একটি। তাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে এবং তারা সবাই খুব প্রতিভাবান। ভারতের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশেরও অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে এবং তারাও উন্নতি করছে। তারা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে এবং তারা ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং এটি দেখার জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে।