বাবা-মায়ের দিন




যারা সারাজীবন আমাদের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাদের কাছে সন্তান মানেই সমস্ত, সেই পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানানোর একটি বিশেষ দিন ‘বাবা-মায়ের দিন’। তবে এই পবিত্র দিনটির সূত্রপাত কীভাবে? আসুন জেনে নিই-

‘মাদার্স ডে’-এর প্রচলন

১৯০৮ সালে ‘মাদার্স ডে’ প্রথম উদযাপন করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ‘গ্রেটার ফিলাডেলফিয়া’ শহরে। সেখানকার আন্না জারভিসের উদ্যোগেই এই বিশেষ দিনটি পালনের প্রচলন শুরু হয়। আন্নার মা খুব অল্প বয়সেই মারা যান। তাই মায়ের প্রতি তার মনে ছিল অসীম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। তিনি চাইতেন সমাজে একটা দিন হোক, যখন সন্তানেরা তাদের মাকে নিয়ে কথা বলবে, তাদের সম্মান করবে। তাই তিনি কর্মকর্তাদের চিঠি লিখে এই দিনটি পালনের অনুরোধ করেন। ১৯১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘উড্রো উইলসন’ ১০ই মে ‘মাদার্স ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেন।


‘ফাদার্স ডে’-এর সূচনা

অনেক পরে ‘ফাদার্স ডে’ অর্থাৎ ‘বাবার দিন’ উদযাপনের প্রচলন হয়। ১৯০৮ সালেই প্রথম ‘ফাদার্স ডে’ পালন করার চেষ্টা করেছিলেন ‘সোনোরা ডড’-নামে একটি কন্যা। তার বাবা ছিলেন একক অভিভাবক। তিনি ছয়টি সন্তানকে লালন-পালন করেছিলেন নিজের একার চেষ্টায়। সেই আত্মত্যাগী বাবাকে সম্মান জানাতে সোনোরা ১৯ জুনকে ‘ফাদার্স ডে’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। ১৯২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় রবিবারকে ‘ফাদার্স ডে’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।


ভারতে ‘বাবা-মায়ের দিন’

পশ্চিমের প্রভাব ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে বহু আগেই। সেই সঙ্গে এসেছে ‘মাদার্স ডে’ ও ‘ফাদার্স ডে’ পালনের প্রথা। ভারতে তৃতীয় রবিবার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ‘বাবা-মায়ের দিন’।


বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান

পিতা-মাতা হলেন সেই মূল্যবান সম্পদ, যাদের কোনো তুলনা হয় না। তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের সবারই কর্তব্য। তবে কৃতজ্ঞতা জানানোর উপায় কী? শুধু কয়েকটি উপহার দিয়ে বা কয়েকটা মিষ্টি কথা বলেই কি আমরা আমাদের বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি? না, তা নয়। কাজের মাধ্যমে আমাদের কৃতজ্ঞতার প্রমাণ দিতে হবে। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে, তাদের আদেশ-নিষেধ মানতে হবে, তাদের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে হবে। তাদের দুঃখে-সুখে পাশে দাঁড়াতে হবে।