উত্তরপ্রদেশের মিরাটে জন্ম নেওয়া বুভনেশ্বর কুমার ক্রিসমাস দিবসে ২০১২ সালে আত্মপ্রকাশ করার সময় সবার নজরে এসেছিলেন। তার শুরুর দিকের সুইং বোলিং সবাইকে মুগ্ধ করেছিল, যার ফলে তিনি ভারতীয় দলে দ্রুত নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি বিশেষত সীমিত ওভার ক্রিকেটে সফল হয়েছিলেন, তার নির্ভরযোগ্যতা এবং ডেথ ওভারে সঠিক বোলিং তাকে একটি মূল্যবান সম্পদে পরিণত করেছিল।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বুভনেশ্বরের সেরা মুহূর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ৩/৩০ এবং ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ৩/৪৮। তিনি ভারতকে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিততেও সাহায্য করেছিলেন।
আইপিএলে বুভনেশ্বর একজন সফল বোলার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি তেলেঙ্গানা এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন, এবং তাদেরকে বেশ কয়েকবার প্লে-অফে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি দুইবার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে।
তার দক্ষতার কারণে, বুভনেশ্বর বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলারদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন। তার নিয়ন্ত্রণ এবং সুইং সব ধরনের ব্যাটসম্যানদের জন্যই সমস্যা সৃষ্টি করে। তিনি একজন নিখুঁত বোলার যিনি নিজের কার্যকলাপের কথা জানেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তার দলের জন্য পারফর্ম করতে সক্ষম।
বুভনেশ্বর কেবল একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারই নন, বরং খেলার একজন দুর্দান্ত রাষ্ট্রদূতও। তিনি মাঠের বাইরে তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং বিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের আগামী দিনের একজন উদাহরণ হিসাবে দেখা যায়, এবং অবশ্যই আগামী বছরগুলোতে দেশের হয়ে আরও অনেক অর্জন করবেন।