যাকে বলা হয় সুন্দরদের শহর, ব্যাঙ্গালোরের সৌন্দর্য এখন বর্ষার নিরবচ্ছিন্ন ধারায় ভিজে গেছে। রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন, ট্রাফিক জ্যামের শেষ নেই।
যারা ভাবছিলেন ব্যাঙ্গালোরে বৃষ্টির মরসুমে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাবেন, তাদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। এই ভারী বৃষ্টির মধ্যে রোমান্সের ফুল ফোটানো বেশ কষ্টসাধ্য। তবে যারা ঘরে বসে বই পড়তে বা চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি স্বর্গীয় সময়।
যদিও বৃষ্টি আমাদের মনকে আনন্দ দেয়, তবে ব্যাঙ্গালোরের বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা চিন্তার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি শহরের অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটছে।
সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বৃষ্টির এই নিরবচ্ছিন্ন ধারা কখন থামবে, তা কেউই জানে না।
এই বর্ষার মরসুমে ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল, প্রকৃতির বিরুদ্ধে যাওয়ার চেষ্টা করা বৃথা। আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থান করতে শিখতে হবে। তবে সেই সঙ্গে আমাদের অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সহজ হয়।
এদিকে, বৃষ্টির এই অবিরাম ধারায় শহরের প্রধান প্রযুক্তি পার্ক ও শপিং মলগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুল ও কলেজগুলো বন্ধ রয়েছে।
ব্যাঙ্গালোর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শহরে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তাই শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
ব্যাঙ্গালোরের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে আশা করা যায়, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি না হয়ে উঠলে শহরটি শীঘ্রই এই বৃষ্টির ধারা থেকে মুক্তি পাবে।
এদিকে, শহরের বাসিন্দারা এই বৃষ্টি উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে হেঁটে বৃষ্টির আনন্দ নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বারান্দায় বসে বৃষ্টির দৃশ্য উপভোগ করছেন।
যদিও ব্যাঙ্গালোরের বৃষ্টির এই নিরবচ্ছিন্ন ধারা বাসিন্দাদের জীবনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, তবে এটি শহরের সবুজ পরিবেশকেও ফিরিয়ে দিয়েছে। বৃষ্টির পর শহরটি যেন নতুন করে জন্ম নিয়েছে।
তাই ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দাদের বার্তা, বৃষ্টির এই ধারাকে উপভোগ করুন। কারণ এটি শহরের সবুজ পরিবেশকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না।