বর্ষার ঢলে যখন কিশোরী প্রকৃতি হয়ে ওঠে কুমারী মেয়ে।




মে মাসের গরমটা সহ্য হচ্ছিল না। কিছুটা বৃষ্টি হলেই মনটা খুশিতে আটখানো যাচ্ছিল না।

আর বৃষ্টি এলোও। আকাশ যেন মন ভরে হাসছে, আর মেঘ মঞ্জুরী দিচ্ছে তাকে। প্রকৃতি যেন ঝলমল করতে লাগল নতুন জীবনে। যেন কিশোরী প্রকৃতি হয়ে উঠলো এক হাসিখুশি কুমারীমেয়ে।

গাছের পাতায় পাতায় ডুমুরের ফোঁটা। যেন কেউ সোনার ফোঁটা ছড়িয়ে দিয়েছে। জানালা দিয়ে উঁকি দিচ্ছে কিশোরী মেয়েটা, চোখ দুটো যেন জ্বলজ্বল করছে। বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজে সদ্য ফোটা বকুল ফুলটাও মুচকি হাসছে।

মাটির গন্ধ ভেসে আসছে। সবে স্নান করা প্রকৃতিটার একটা মায়াবী সুর। কী সুন্দর। আকাশটাও যেন আনন্দে মেতেছে। মেঘে মেঘে আলোর খেলা।

মানুষের মনও খুশিতে ভরে উঠে। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে মনে হয় যেন আজ বর্ষার প্রথম দিন। মনে হয় প্রকৃতিটা আমাকে আজ নতুন কিছু দেবে। নতুনত্বের স্পর্শ।

বৃষ্টিতে ভেজা কচি পাতাগুলোর সবুজ রং দেখলে মনটা ভীষণ শান্ত লাগে। গাছের ডালগুলোও যেন নতুন প্রাণ পেয়েছে। বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজে আকাশে উড়তে থাকা পাখিগুলোও যেন আনন্দে মেতেছে।

বর্ষার বৃষ্টি যেন এক অপূর্ব দান। প্রকৃতিকে যেন নতুন করে সাজিয়ে তোলে।

জানালা দিয়ে বাইরের বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছি। মনে হচ্ছে আকাশটা একটা ক্যানভাস আর বৃষ্টির ফোঁটাগুলো রং। আকাশকে সে রং দিয়ে সাজিয়ে তুলছে নতুন রূপে।

এই বৃষ্টির প্রকৃতির রূপ দেখতে দেখতে মন ভরে যাচ্ছে। আর মন বলছে, এই রূপটাই যদি সবসময় থাকতো।

আমাদের আহবান

প্রকৃতির এই রূপ আমাদের রক্ষা করা দরকার। একে যদি আমরা না রক্ষা করি তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই সুন্দর রূপ আর দেখতে পাবে না। তাই প্রকৃতিকে যত্ন করার দায়িত্বটা আমাদের সবার।