ব্রায়ান জনসন, বিপরীত বয়স্ক বায়োহ্যাকার: নিজের স্বাস্থ্যের জন্য কী কী করছেন?




ব্রায়ান জনসন একজন অসাধারণ ব্যক্তি, যিনি বয়স-বিপরীত বায়োহ্যাকার হিসাবে পরিচিত। তিনি বিশ্বাস করেন যে, আমরা বার্ধক্যজনিত রোগগুলোকে বিলম্বিত করতে বা এড়াতে পারি। তিনি নিজের শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে তার জৈবিক বয়স কমাতে চেষ্টা করছেন।
জনসন তার প্রকল্পকে "ব্লুপ্রিন্ট" নাম দিয়েছেন। প্রকল্পটির লক্ষ্য হল বার্ধক্যকে পুরোপুরি বুঝতে এবং বিপরীত করার উপায় খুঁজে বের করা। তিনি নানা ধরনের চিকিৎসা নিচ্ছেন, যেমন হরমোন থেরাপি, স্টেম সেল ট্রান্সফিউশন এবং জিন থেরাপি। তিনি একটি বিশেষ ডায়েট এবং ব্যায়ামের রুটিনও অনুসরণ করছেন।
জনসনের কাজ ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে, এবং এটি বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ তার দাবির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে, অন্যরা তার কাজকে সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসাবে দেখেন।
জনসনের কাজ বিতর্কিত হলেও, এটা স্পষ্ট যে তিনি বার্ধক্য সম্পর্কে আমাদের চিন্তাধারাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। তার কাজ রোগের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশা জাগাচ্ছে।

জনসনের পদ্ধতি

জনসনের পদ্ধতি বিভিন্ন উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি প্রতিদিন 111 টি চিকিৎসা গ্রহণ করেন, যার মধ্যে ভিটামিন, খনিজ, হরমোন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তিনি একটি বিশেষ ডায়েটও অনুসরণ করেন, যা ক্যালোরি এবং চিনিতে কম এবং প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, যা সপ্তাহে পাঁচ দিন ফুটবল এবং দুই দিন শক্তি প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করে।
জনসন তার জৈবিক বয়স পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং শারীরিক পরীক্ষাও করান। তিনি এখন 45 বছর বয়সী, কিন্তু তার শারীরিক স্বাস্থ্য 18 থেকে 22 বছর বয়স্ক একজনের সমান।
জনসন'স পদ্ধতি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ তার দাবির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে, অন্যরা তার কাজকে সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসাবে দেখেন।
জনসনের কাজ বিতর্কিত হলেও, এটা স্পষ্ট যে তিনি বার্ধক্য সম্পর্কে আমাদের চিন্তাধারাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। তার কাজ রোগের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশা জাগাচ্ছে।

জনসনের লক্ষ্য

জনসনের লক্ষ্য বার্ধক্যজনিত সমস্ত রোগ নির্মূল করা। তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি সম্ভব কারণ বার্ধক্য একটি রোগ, এবং রোগ নিরাময়যোগ্য।
জনসন নিজের শরীরে কাজ করার পাশাপাশি বিপরীত বার্ধক্য গবেষণায় অর্থায়ন করছেন। তিনি বার্ধক্য অনুসন্ধান ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, যা বিপরীত বার্ধক্য গবেষণায় অর্থায়ন করে এমন একটি অলাভজনক সংস্থা।
জনসন আশাবাদী যে একদিন বার্ধক্যজনিত সমস্ত রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে তার কাজ এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।