বলছি অভিনন্দন শ্রীকৃষ্ণ জনমঅষ্টমী!
ওগো দোস্তো আজ আমাদের প্রিয় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী। মহাভারতের এই অর্জুনের সারথি, দ্রৌপদীর শাড়ির আড়ালকারী, রমণীর বংশীর শব্দের ধ্বনিতে মুগ্ধকারী, আমাদের সেই অধিনায়ক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। আমরা আজ তাঁর আবির্ভাবকে স্মরণ করছি, তাঁর সেই নীলবর্ণ দেহ, তাঁর সেই কোমল হাসি, মধুর বংশীধ্বনিকে স্মরণ করছি।
ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে অশুভের ক্রমবর্ধমান শক্তির ফলে পৃথিবী ছিল সঙ্কটাপন্ন। তাই রক্ষক হিসাবে, পৃথিবীকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মা দেবকীর গর্ভে অবতীর্ণ হন। কৃষ্ণের জন্মের কথা বর্ণনার সময় দোস্তো, আমি সত্যিই গর্বিত হয়ে উঠি যে এই মহান রক্ষক আমাদের হিন্দুধর্মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম অষ্টমীর দিনে বাসুদেব কর্তৃক গোকুলে গোপাল পরিবারের কাছে নিয়ে আসা হয়, যাতে তাকে দুষ্ট রাজা কংসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। গোকুলে কৃষ্ণ তার শৈশব এবং কিশোর বয়স কাটিয়েছেন, যেখানে তিনি অনেক লীলা এবং চমৎকার কাজ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত লীলাগুলির মধ্যে একটি হল গোবর্ধন পর্বতকে তোলা, যখন তিনি গোকুলবাসীদের ভারী বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য তাঁর কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে পর্বতটিকে উপরে তুলেছিলেন। এই লীলাটি আমাদের শেখায় যে আমাদের সবসময় আমাদের প্রিয়জনদের যত্ন নিতে হবে।
গোকুলে কৃষ্ণের লীলা বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। তাঁর বাঁশি, গোপীদের সঙ্গে তাঁর রাসলীলা, কংসের বধ, জরাসন্ধের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ, অর্জুনের সারথি হিসাবে তাঁর ভূমিকা - এই সমস্ত গল্প আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদের অনুপ্রাণিত করে। কৃষ্ণের জীবন আমাদের জীবনযাপনের একটি আদর্শ উপস্থাপন করে। আমরা জীবনের প্রতি তাঁর আনন্দদায়ক মনোভাব, তাঁর সাহস, তাঁর বুদ্ধিমত্তা, তাঁর কর্তব্যের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি।
আজ, শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিনে, আসুন আমরা তাঁর বাণীর শিক্ষা মনে রাখি, আমাদের জীবনকে আলোকিত করি। আসুন আমাদের আধ্যাত্মিক যাত্রায় তাকে আমাদের পথপ্রদর্শক হিসাবে গ্রহণ করি। শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের শ্রীচরণে আমার কোটি কোটি প্রণাম। হে নাথ, তুমি আমাদের রক্ষা করো, আমাদের জীবনকে আলোকিত করো। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। জয় শ্রীকৃষ্ণ!