বেলায়াতে বসবাসকারী নীলচরের তিন জনার জন্মদিনে আনন্দোল্লাসের বিকেল




আমার বড়দা মিজানুর রহমানের বসবাস লন্ডনে। আমাদের গ্রাম বাড়ি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ফুলতলী ইউনিয়নের নীলচর গ্রামে। গ্রামের মানুষগুলো খুব আন্তরিক এবং সহযোগীতা করতে খুবই অগ্রণী। আমার বড়দার জন্মদিনে গ্রামের তিনজনকে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য তাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

দিনটি ছিলঃ ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

স্থানঃ নীলচর, ফুলতলী, ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম

সকাল ১০টা থেকেই গ্রামের মানুষজন তাদের ঘর-দুয়ার সাজাতে ব্যস্ত। বাসায় যা যা রান্না করার আছে সব কিছু রান্না করে ফেলেছে। দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিন জন তরুণকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানে হয়। তারপরে তাদেরকে কেক কাটার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

কেক কাটার পর খাবার টেবিলে গিয়ে সবাই খাবার গ্রহণ করে। খাওয়ার শেষ পর্যায়ে আইসক্রিম বিতরণ করা হয়। খাবার শেষ হওয়ার পর তরুণ তিনজনকে উপহার দেওয়া হয়। উপহার দিয়ে তাদেরকে আবারও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারপর তরুণ তিনজনের একটি বক্তৃতা।

বক্তব্যে তরুণ তিনজন কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, “আমরা ভাবতেও পারিনি আমাদের জন্মদিন পালিত হবে। আমাদেরকে নিয়ে আপনাদের এত বড় উদ্যোগ গ্রহন করবেন এটা আমরা কখনও ভাবিনি। আজ আমরা গর্বিত আমরা নীলচরের সন্তান। আজ আমাদের কাছে লাগছে যেন আবার আমরা শিশু হয়ে গেছি। আমাদের জন্য যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।”

এরপর গ্রামের তরুণ-তরুণীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গান, নাচ ও কবিতা পাঠে হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় সবার মধ্যে জিলাপি বিতরণ করা হয়। জিলাপি খাওয়া শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা আড়াইটার দিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এই আনন্দমূলক অনুষ্ঠানটি সবার কাছেই প্রশংসিত হয়। এই অনুষ্ঠানের ফলে তরুণদের মধ্যে আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের মিলন মেলা হয়েছে। গ্রামের মানুষগুলোর সহযোগিতা এবং আন্তরিকতায় অনুষ্ঠানটি সফল হয়। আনন্দঘন দিনটির স্মৃতি সবাই মনের মধ্যে গেঁথে রাখবে।