১১ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে তামিলনাড়ুর মাদ্রাজ শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনাথন আনন্দ। শৈশব থেকেই দাবারের প্রতি তার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তিনি এই খেলায় পা রাখেন। তার বাবা অধ্যাপক কে. বিশ্বনাথন এবং মা সুষমা, দুজনেই ছিলেন খেলাধুলাপ্রেমী। সেই পরিবেশে বেড়ে উঠে আনন্দও খেলাধুলায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
শুরুর দিকে আনন্দকে শিক্ষা দেন তার বড় ভাই শিবকুমার। এরপর শত্রঞ্জে তার প্রথম গুরু হন ইউজিন জোসেফ। তিনি ১৯৮৩ সালে ন্যাশনাল সাবজুনিয়র শত্রঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। এরপর তিনি মহান শত্রঞ্জ গুরু ভি এন রাম রাও-র কাছে গিয়ে শিখতে শুরু করেন। রাম রাও আনন্দকে খুব সুচারুভাবে পথ দেখিয়েছিলেন।
১৯৮৭ সালে আনন্দ আন্তর্জাতিক মাস্টার এবং এর পরের বছরই গ্র্যান্ডমাস্টার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৮৭ সালে দিল্লি আন্তর্জাতিক শত্রঞ্জ টুর্নামেন্ট জেতায় আনন্দ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হতে শুরু করেন। এরপরে তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার (১৯৮৭) এবং গ্র্যান্ডমাস্টার (১৯৮৮) হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই দুটি সম্মান অর্জনের মাধ্যমে আনন্দ বিশ্বর্যাংকিংয়ের শীর্ষস্হানে উঠে আসেন।
আনন্দের শত্রঞ্জের অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
আনন্দ বিশ্বের সবচেye বেশি রেটেড খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন। তিনি একমাত্র ভারতীয় যিনি বিশ্ব শ্যাম্পিয়নশিপ পাঁচবার জিতেছেন। তাঁর অসাধারণ ক্যারিয়ার এবং অবিশ্বাস্য সাফল্য তাঁকে ভারতের সবচেye সফল এবং বিখ্যাত শত্রঞ্জ খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে।
বিশ্বনাথন আনন্দ কেবল একজন বিখ্যাত শত্রঞ্জ খেলোয়াড় নন, তিনি তরুণদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তাঁর অসাধারণ ক্যারিয়ার এবং অবিশ্বাস্য অর্জন শিখিয়েছে যে, দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম এবং উৎসর্গের মাধ্যমে যেকোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব। তাঁর গল্প সকল শত্রঞ্জ প্রেমী এবং তাঁর অনুরাগীদের জন্য সর্বদা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বিশ্বনাথন আনন্দ শুধুমাত্র একজন বিশ্ব শ্যাম্পিয়ন নন, তিনি ভারতীয় শত্রঞ্জের ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি। তাঁর সাফল্য এবং অর্জন তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তাঁর উত্ত