বিশ্বের চোখে জওহরলাল নেহেরু




জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। নির্ভীক নেতা হিসেবে তিনি সর্বজনীনভাবে পরিচিত ছিলেন। তার নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।

নেহেরুর দূরদর্শীতা ও বিশ্বের ব্যাপারে তার গভীর জ্ঞানের জন্য তিনি বিশ্বমঞ্চেও সমানভাবে সম্মানিত হতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ভারত একটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে উন্নতি লাভ করতে হলে, তাকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে, তিনি অনেক দেশ ঘুরেছেন এবং বিভিন্ন বিশ্ব নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং বিশ্বে শান্তি ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

নেহেরু এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
  • নেহেরু ছিলেন অ-সংযুক্ত আন্দোলনের একজন প্রধান প্রবক্তা।
  • তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ভারতকে কোনো সামরিক জোটে যোগদান করা উচিত নয়।
  • তিনি মনে করতেন, ভারতের নিরপেক্ষ থাকা উচিত, যাতে এটি বিশ্বে শান্তি ও সহযোগিতার জন্য একটি শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • নেহেরুর নীতির ফলে ভারত বিশ্বে একটি শক্তিশালী কণ্ঠরূপে আবির্ভূত হয়েছিল।
নেহেরুর দূরদর্শীতা
  • নেহেরু বিশ্বাস করতেন যে, ভারত একটি আধুনিক এবং প্রগতিশীল দেশ হিসেবে উন্নতি করতে চাইলে তার শিক্ষায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।
  • তিনি দেশে প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
  • তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, ভারতের উন্নতির জন্য এগুলি অপরিহার্য।
  • নেহেরুর নীতির ফলে ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

জওহরলাল নেহেরু একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন যিনি ভারতের ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টি রেখেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ভারতের একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং প্রগতিশীল দেশ হিসেবে উন্নতি লাভ করতে হলে, তাকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তার নেতৃত্বে ভারত বিশ্বমঞ্চে শ্রদ্ধা অর্জন করেছিল।

আজ আমরা জওহরলাল নেহেরুর উত্তরাধিকারকে গর্বের সাথে স্মরণ করি। তিনি ভারতকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং বিশ্বে শান্তি ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের জন্য তাকে সবসময় স্মরণ করা হবে।