বিশ্ব হৃদয় দিবস




প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস পালন করা হয়। হৃদরোগ বর্তমানে বিশ্বের প্রাণঘাতী রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোক হৃদরোগে মারা যান। বিশ্ব হৃদয় দিবস অধিকাংশ মানুষের মধ্যে হৃদরোগ সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পালন করা হয়। পাশাপাশি এদিন হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায় ও সুস্থ জীবনযাপনের বিষয়ে মানুষকে তথ্য প্রদান করা হয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য আমাদের কিছু জীবনযাপনগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন পরিহার করা, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং স্ট্রেস কমানো। একটু সতর্কতা ও পরিশ্রম দিয়েই আমরা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারি এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনযাপন করতে পারি।

  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর উপায়
    • নিয়মিত শরীরচর্চা: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মध्यम-तीब्रতা বা ৭৫ মিনিট উচ্চ-तीब्रতা শরীরচর্চা করা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
    • ধূমপান পরিহার: ধূমপান হৃদরোগের প্রধান কারণগুলোর একটি। ধূমপান ছাড়ার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়।
    • অ্যালকোহল সেবন পরিহার: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মহিলাদের দিনে একটি এবং পুরুষদের দিনে দুটির বেশি ড্রিংক সেবন করা উচিত নয়।
    • সুষম ও পুষ্টিকর খাবার: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং লীন প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং কলেস্টেরলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
    • স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস হৃদরোগের একটি অন্যতম কারণ। নিয়মিত শরীরচর্চা, মেডিটেশন এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে স্ট্রেস কমানো যেতে পারে।
    • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয় করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

    বিশ্ব হৃদয় দিবস হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধে আমাদের ভূমিকা সম্পর্কে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর উপায়গুলো অনুসরণ করে এবং সুস্থ জীবনযাপন করে আমরা হৃদরোগমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে পারি।