বাশীর কে আসলে চেনেন না কী?




বাংলাদেশী সিনেমা জগতের একটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম বাশীর। সিনেমার আঙিনায় প্রায় ৪০ বছর ধরে রাজত্ব করছেন তিনি। শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গেও এক সময় তার রাজত্ব ছিল। আজকের প্রজন্মের কাছে হয়তো বাশীর ততটা পরিচিত নয়। কিন্তু ষাটোত্তরের তরুণদের কাছে বাশীর একটা প্রিয় নাম।

১৯৬০ সালে চলচ্চিত্রের পর্দায় পা রাখেন বাশীর। অভিনয় দিয়ে দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন এই নায়ক। তার অভিনয় কর্মজীবনটা বেশ ওতোপতো। অভিনেতা হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয় "মুখ ও মুখোশ" সিনেমার মাধ্যমে। তবে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে "আঁখি মিলন", "সুজন সখী", "দুই ভাই", "অগ্নিশাপা" ইত্যাদি।

বাশীর শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি একজন প্রযোজক এবং পরিচালকও। একটা সময় তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বাশীর একজন স্বল্পভাষী এবং সংসারপ্রিয় মানুষ। দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক তিনি।

বাশীরের কর্মজীবন

বাশীরের কর্মজীবন বেশ ওঠাপড়ায় ভরা। অভিনয় দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে তিনি প্রযোজনা এবং পরিচালনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। প্রযোজক হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ছিল "জলছবি"। আর পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে "বসুন্ধরা" সিনেমার মাধ্যমে।

অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবে বাশীরের সফলতার মূল কারণ তার কঠোর পরিশ্রম। তিনি একজন উদারমনা মানুষ যার সহকর্মীদের প্রতি সবসময় সম্মান ছিল।

ব্যক্তিগত জীবন

বাশীর একজন স্বল্পভাষী এবং সংসারপ্রিয় মানুষ। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেসন্তানের জনক তিনি। তিনি তার পরিবারকে খুব বেশি গুরুত্ব দেন এবং বিনোদনের জন্য সময় কাটানো তিনি পছন্দ করেন।

বাশীরের সবচেয়ে বড় শখ হচ্ছে কবিতা পাঠ করা। তিনি একজন ভালো কবিও। তিনি নিজের কবিতা নিজেই রচনা করেন এবং অনুষ্ঠানে আবৃত্তিও করেন।

বাশীরের প্রাপ্তি

চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বাশীর বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এবং বাচসাস পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।

শেষকথা

বাশীর বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব। তার অভিনয়, প্রযোজনা এবং পরিচালনায় অনেক অবদান রয়েছে। তিনি একজন প্রতিভাবান এবং উদারমনা মানুষ যিনি সহকর্মীদের প্রতি সবসময় সম্মান প্রদর্শন করেন।

বাশীর আজও সক্রিয় রয়েছেন এবং চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সন্তানরাও বর্তমানে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। বাশীরের পরিবার চলচ্চিত্র জগতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অব্যাহত রয়েছে।