বিষ্ণুর শুভ নাম গুলির এই সংকলনটি শ্রীমদ্ ভাগবতের অনুশাসন পর্বের 149তম অধ্যায়ে পাওয়া যায়। এটি মূলত 108টি নামের একটি শ্লোক দিয়ে শুরু হয়, এরপর আরও একটি শ্লোক যা এই শ্লোকের সংখ্যাটি 1000-এ প্রসারিত করে।
শ্রী কৃষ্ণের প্রতি অর্জুনের প্রশ্নঅনুশাসন পর্বের ১৪৯ তম অধ্যায়ের শুরুতে, অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ভগবান বিষ্ণুর সবচেয়ে প্রিয় নামগুলি কি এবং আরেকবার শোনা যেতে পারে কিনা গীতা উপদেশের মতোই বিষ্ণুর এই পবিত্র নামগুলির কথা।
ভীষ্মের কাছ থেকে অর্জুনকে উত্তরশ্রীমদ্ ভাগবতের মতে, শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ভীষ্মের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নিতে বলেন, যিনি সেই সময় মৃত্যুর শয্যায় ছিলেন। অবশেষে, ভীষ্ম অর্জুনকে বিষ্ণুর সহস্র নামের লিটানিটি দেন, যা ভীষ্ম পার্বে আদিব্রহ্মা দ্বারা দেওয়া হয়েছিল।
সহস্র নামের তাৎপর্যবিশ্বাস করা হয় যে, বিষ্ণুর সহস্র নাম পাঠ করলে বা শোনা হলে তা পাপ থেকে মুক্তি, ভয় থেকে মুক্তি এবং ভক্তির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উन्नতির দিকে পরিচালিত করে। কিছু গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিয়মিত বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করলে মানুষের জ্ঞান, সমৃद्धि এবং সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পায়।
নাম শ্রেণীবিভক্ত করাবিষ্ণুর সহস্র নামকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন:
বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করা বা শোনার কিছু উপকারিতাগুলি হ'ল:
বিষ্ণু সহস্রনাম হিন্দু ধর্মের একটি পবিত্র গ্রন্থ যা বিষ্ণুর শক্তি এবং দৈনন্দিন জীবনে তাঁর উপস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়। নিয়মিত পাঠ করা বা শোনা এটি শান্তি, শক্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির দিকে পরিচালিত করে।