বাহরাইচের হিংসা: সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় কাঁপছে উত্তরপ্রদেশ




উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় দুর্গাপুজার মূর্তি বিসর্জন নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনায় এখনও কাঁপছে এলাকা। শুক্রবার রাতে বাহরাইচের মাহসি থানার চনকপুর গ্রামে শুরু হওয়া এই সম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অন্তত দুজন নিহত এবং কয়েকজন পুলিসকর্মীসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, চনকপুর গ্রামের একটি মন্দিরের পাশে মূর্তি বিসর্জন করার সময় জোরে মিউজিক বাজানো নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। বিবাদ বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে মারামারিতে গিয়ে পৌঁছায়। এই সময় দু'পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র এবং ইটপাটকেল ছোঁড়াছুড়ি করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে আহত হন কয়েকজন পুলিসকর্মী।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতভর গ্রামে অবস্থান করেন জেলা পুলিশ সুপার কৃপানন্দ ত্রিপাঠী। শনিবার সকালে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন রাজনৈতিক নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের একটি শান্তি সম্মেলন আহ্বান করেছে।

  • উত্তেজনার কারণ জানা গেছে মন্দিরের পাশে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় জোরে মিউজিক বাজানো নিয়ে বিবাদ
  • রাতভর চলা দাঙ্গায় দুজন নিহত, আহত কয়েকজন পুলিসকর্মী
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন
  • জেলা প্রশাসন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে শান্তি সম্মেলন আহ্বান
  • হিংসার ছাপ ফের বাহরাইচে

    ২০১৭ সালেও বাহরাইচের স্বাদিশপুর গ্রামে দুর্গাপুজোর মূর্তি বিসর্জনের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বীরভদ্র সিং গোয়েলকে সেই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তবে তিনি এখন জামিনে মুক্ত। সেই ঘটনায় তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এন কে সিং। তাঁকেও কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

    তবে এবারের ঘটনায় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জেলা প্রশাসনকে ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    এদিকে, এই ঘটনার জেরে রাজ্য রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধী দলের নেতারা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেস্তে গিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো এবং অপরাধীরা কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবেন।