বিহার দিবস




বছরের এই সময়টায়, শ্রাবণ মাসে, বিহারিয়ানরা বিহার দিবস উদযাপন করে। বিহারের গঠনের স্মৃতিরক্ষায় এই দিনটি পালিত হয়, যা ২২ মার্চ, ১৯১২ সালে ব্রিটিশ ভারতের একটি পৃথক প্রদেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

বিহার দিবসের উদযাপন একটি উত্সব, যা সারা রাজ্য জুড়ে কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। পটনা বিহারের রাজধানী, এবং এখানে এটি সবচেয়ে বেশি উৎসবে পালিত হয়। শহরটি রঙিন আলো এবং সাজসজ্জায় সেজে ওঠে, এবং রাস্তাগুলি ভিড়ে থাকে উদযাপনকারীদের দ্বারা।

বিহার দিবস কেবল একটি উত্সবই নয়, এটি বিহার এবং এর সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির গর্বের প্রতীকও। বিহার ভারতের অন্যতম পুরাতন রাজ্য, এবং এটি এই অঞ্চলে অনেক সাম্রাজ্যের উত্থান এবং পতনের সাক্ষী হয়েছে। মৌর্য, গুপ্ত এবং পাল সাম্রাজ্যগুলি বিহার থেকে শাসন করেছে, এবং তাদের শাসনকাল এই অঞ্চলে স্থাপত্য, সাহিত্য এবং শিল্পের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রেখেছে।

আজ, বিহার একটি প্রগতিশীল রাজ্য, যা এর কৃষি, শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তার অবদানের জন্য পরিচিত। এটি ভারতের অন্যতম জনবহুল রাজ্যও, যার প্রায় ১০৪ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে। বিহারিয়ানরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কৃতিত্বের জন্য পরিচিত।

বিহার দিবস আমাদের বিহারের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে স্মরণ করার এবং আমাদের রাজ্যের অগ্রগতিতে গর্ব করার একটি উপলক্ষ। এটি আনুষ্ঠানিকতা এবং মেলামেশার একটি দিন, যা বিহারিয়ানদের তাদের ঐক্য এবং সংস্কৃতির প্রদর্শন করার সুযোগ দেয়।


  • শারদীয় দুর্গাপুজো বিহারের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব।
  • বিহার মিথিলা পেইন্টিংয়ের জন্য বিখ্যাত, যা একটি প্রাচীন শিল্প রূপ।
  • বিহারি খাবার তেঁতো-মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিচিত, খুবুজা এবং চটপটা তাদের বিশেষত্ব।
  • বিহারিয়ানরা তাদের সাহিত্যিক অবদানের জন্যও পরিচিত, যার মধ্যে গোপাল সিংহ নেপালি এবং শ্রীকান্ত বর্মা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

যেখানেই আপনি থাকুন, এই বিহার দিবস আসুন আমরা আমাদের রাজ্যকে সম্মান করি এবং এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে উদযাপন করি। জয় বিহার, জয় বিহারি!