বিহার দিৱস




বিহার দিবসটি বিহার রাজ্যের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের দিন। প্রতি বছর ২২ মার্চ তারিখে দিবসটি পালন করা হয়, যখন ১৯১২ সালে বিহার ও ওড়িশা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে আলাদা একটি প্রদেশ হিসেবে গঠন করা হয়েছিল।

একটি রাজ্যের জন্ম

বিহারের ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং প্রাচীন, মগধ সাম্রাজ্যের কাল থেকেই। ষষ্ঠ শতাব্দীতে গৌতম বুদ্ধ এই অঞ্চলে বসবাস করতেন এবং জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীরও। মধ্যযুগে এই অঞ্চলটি মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল এবং পরে খলজী, তুঘলক এবং লোদি রাজवंশ দ্বারা শাসিত হয়েছিল।
১৮৫৮ সালে ভারত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে এবং বিহার বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অংশ হয়ে ওঠে। বিহারের দীর্ঘস্থায়ী স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের পর, ১৯১২ সালের ২২ মার্চ তারিখে বিহার ও ওড়িশাকে একটি পৃথক প্রদেশ হিসাবে তৈরি করা হয়।

উদযাপন এবং উৎসব

বিহার দিবস রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উদযাপন করা হয়। রাজ্য সরকার সরকারী কর্মচারীদের ছুটি দেয়। পটনা এবং রাজ্যের অন্যান্য প্রধান শহরগুলিতে ভবন জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো থাকে। রাজ্যমন্ত্রীরা এবং আধিকারিকরা প্রধান অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিহার দিবসের উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি। এতে বিহারের লোকনৃত্য, লোকসঙ্গীত এবং নাটকের প্রদর্শনী অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রতিযোগিতাগুলিও আয়োজিত হয়, যেমন সেরা গান, নাচ এবং সেজে গুজে উঠার প্রতিযোগিতা।
এছাড়াও, বিহার দিবস রাজ্যের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি দিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি এই দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করার অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং পোশাক সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়।

বিহারের গৌরব

বিহার ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, যার সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আছে। রাজ্যের মানুষ তাদের শিল্প, সাহিত্য এবং সঙ্গীতের জন্য পরিচিত।
বিহার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের জন্মভূমি, যেমন গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, চাণক্য, শের শাহ সূরি এবং জয়প্রকাশ নারায়ণ। রাজ্যটি তার মন্দির, মাজার এবং বৌদ্ধ স্থানগুলির জন্যও বিখ্যাত।

ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে

বিহার দিবস রাজ্যের অতীতকে উদযাপন করার এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর দিন। রাজ্য সরকার চিকিৎসা, শিক্ষা এবং অবকাঠামোর উন্নতির জন্য কাজ করছে।
বিহারের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, এবং রাজ্যের মানুষ আশাবাদী যে এটি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।

একটি আহ্বান

বিহার দিবস রাজ্যের ইতিহাস এবং সংস্কৃতিতে গর্ব করার এবং রাজ্যের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য কাজ করার একটি দিন। আসুন আমরা সবাই হাতে হাত রেখে বিহারকে আরও সমৃদ্ধ এবং উন্নত রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করি।