ভনরাজের জন্ম ১৯৫৮ সালে মুম্বাইয়ের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। তিনি ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তিতে আগ্রহী ছিলেন এবং ইলেকট্রনিক্সে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
১৯৮০-এর দশকে, ভারতীয় টেলিভিশন দুনিয়া বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। টেলিভিশন দেখার প্রথা আগে সরকারি একচেটিয়া ছিল, কিন্তু নীতিগত পরিবর্তনগুলি বেসরকারি অপারেটরদের পথ খুলে দিয়েছিল।
ভনরাজ এই সুযোগটি বুঝতে পেরেছিলেন এবং ১৯৮৮ সালে ইস্টার্ন কেবল নেটওয়ার্কের সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাথমিক দিনগুলিতে, ভনরাজ তার কোম্পানির জন্য চ্যানেল সংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তিনি কেবল তারেরও নজর রেখেছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন যে গ্রাহকরা নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ-মানের পরিষেবা পায়।
ভনরাজের কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবন দ্রুত ফল দিয়েছে। ইস্টার্ন কেবল মুম্বাই এবং তারপরে ভারতের সবচেয়ে বড় কেবল অপারেটর হয়ে উঠেছে। ভনরাজ ভারতীয় টেলিভিশন শিল্পের অগ্রণী হিসাবে স্বীকৃত হয়েছেন, যিনি গ্রাহকদের জন্য উচ্চ-মানের মনোরঞ্জন নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
ভনরাজের জীবনী অনুপ্রেরণাদায়ক এবং এটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে দৃঢ় সংকল্প এবং উদ্ভাবন দিয়ে যে কোনও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা যেতে পারে। ভারতীয় টেলিভিশন দুনিয়াকে আকৃতি দেওয়ার জন্য তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে অভিনন্দন।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, "ভারতের কেবল দৃশ্যে ইস্টার্ন কেবলের উত্থানের গল্পটি কি?"
ভনরাজ হেসে বললেন, "এটি এক দীর্ঘ এবং ঘূর্ণায়মান যাত্রা ছিল। যখন আমরা শুরু করেছিলাম, তখন কেবল টিভি একটি বিলাসবহুল সামগ্রী ছিল। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল গ্রাহকদের বিশ্বাস জেতার জন্য।"
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, "এই শিল্পের ভবিষ্যৎ কি?"
ভনরাজ গম্ভীর দৃষ্টিতে বললেন, "ভবিষ্যৎ স্ট্রিমিং এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির। কেবল অপারেটরদের এই প্রবণতাকে গ্রহণ করতে হবে এবং গ্রাহকদের একটি নির্বিঘ্ন এবং ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা প্রদান করতে হবে।"
আমি ভনরাজ আনদেকারের সাথে কথোপকথন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাঁর অনুভব এবং দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী করেছে।