ভিনায়ক চতুর্থী




ভিনায়ক চতুর্থী একটি প্রখ্যাত হিন্দু উৎসব যা গণেশ চতুর্থীর সূচনাকে চিহ্নিত করে। এটি ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থ তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে, ভক্তরা গণেশ দেবতাকে পুজো করেন, যিনি বিঘ্ননাশক হিসাবে পরিচিত এবং সূচনা এবং নতুন শুরুর দেবতা হিসাবে বিবেচিত হন।
ভিনায়ক চতুর্থীর পৌরাণিক কিংবদন্তি অনুযায়ী, দেবী গৌরী নিজের শরীরের হলুদ দিয়ে গণেশ সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি তাঁকে দরজার প্রহরী হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন এবং তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কেউ যেন তাঁর স্নানের ঘরে প্রবেশ না করতে পারে। যখন শিব ফিরে এলেন, তিনি গণেশকে দরজার কাছে দেখে ক্ষুব্ধ হলেন এবং তাঁর মাথা কেটে দিলেন। যখন গৌরী এই ঘটনা সম্পর্কে জানলেন, তিনি ভীষণ দুঃখিত হলেন এবং শিবকে গণেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে অনুরোধ করলেন। শিব একটি হাতির মাথা খুঁজে পেয়ে গণেশের শরীরের সাথে তা সংযুক্ত করলেন, তাই গণেশকে গজাননও বলা হয়।
ভিনায়ক চতুর্থী উৎসবটি বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের সাথে পালিত হয়। এই দিনের সকালে, ভক্তরা মৃন্ময় বা ধাতবের গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা চন্দন, সিঁদুর, ফুল এবং মিষ্টি দিয়ে মূর্তিটিকে সাজান। তারপর তারা মন্ত্র উচ্চারণ করেন এবং দেবতাকে ভোগ নিবেদন করেন।
উৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পঞ্চামৃত অভিষেক। এটি দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গাজলের মিশ্রণ। ভক্তরা এই মিশ্রণটি দিয়ে গণেশ মূর্তির স্নান করান, যা দেবতাকে শুদ্ধ করার এবং তাঁকে প্রসন্ন করার বলে বিশ্বাস করা হয়।
ভিনায়ক চতুর্থী উৎসবটি ভারত এবং নেপালে ব্যাপকভাবে পালিত হয়। উৎসবের দিনটি হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র দিন, এবং তারা বিশ্বাস করেন যে এই দিনে গণেশকে পুজো করলে তাদের সকল বাধা দূর হয় এবং তারা সূচনার দেবতার আশীর্বাদ লাভ করেন।