ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক: একটি অসাধারণ বন্ধন




বিশ্বের দুটি অত্যন্ত বিభিন্ন দেশ, ভারত এবং ইসরাইল, একটি অসম্ভব বন্ধন ভাগ করে নিয়েছে যা দশক ধরে শক্তিশালী হয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে এই সম্পর্কের শিকড় অত্যন্ত গভীর।

সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা:

শীতল যুদ্ধের সময়, ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জোটবদ্ধ ছিল, যখন ইসরাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দৃঢ় মিত্র ছিল। অতএব, ভারত এবং ইসরাইলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিল সীমিত। তবে, 1991 সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে এই পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে।

প্রযুক্তিগত সহযোগিতা:

ইসরাইল প্রতিরক্ষা, কৃষি এবং জল প্রযুক্তির সাহায্যে ভারতকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ভারত-ইসরাইল কৃষি প্রকল্পের মতো উদ্যোগ কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছে। উভয় দেশ সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ এবং শক্তি সহ বিভিন্ন অন্যান্য ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেছে।

রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা:

ভারত এবং ইসরাইল উভয়ই সন্ত্রাসবাদ এবং সীমান্ত নিরাপত্তার মতো বিষয়ে উদ্বেগের সম্মুখীন। এই সাধারণ উদ্বেগ তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ইসরাইল ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করার পাশাপাশি অস্ত্র-সস্ত্র এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:

ভারত এবং ইসরাইল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ফোরামে, তারা বিভিন্ন বিষয়ে যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অ-প্রসারণে একসাথে কাজ করেছে। এই সহযোগিতা উভয় দেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।

মানবিক সহযোগিতা:

প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবিক সংকটের সময়, ভারত এবং ইসরাইল একে অপরকে সহায়তা করেছে। ভূমিকম্প, বন্যা এবং অন্যান্য বিপর্যয়ের সময় ইসরাইল উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য বিশেষज्ञ এবং দল প্রেরণ করেছে। ভারতও মানবিক সংকটে ইসরাইলকে সহায়তা প্রদান করেছে।

সাংস্কৃতিক বন্ধন:

সম্পর্কের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক ছাড়াও, ভারত এবং ইসরাইলের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। ইসরাইলের হيفা এবং ভারতের বেঙ্গালুরু যমজ শহর। উভয় দেশ পরস্পরের সংস্কৃতি, খাবার এবং সিনেমা উদযাপন করে।

ভবিষ্যত সম্ভাবনা:

ভারত-ইসরাইল সম্পর্কের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অসাধারণ বন্ধন আগামী বছরগুলিতে আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, উভয় দেশকে বিশ্বের সামনে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।