ভারতের পতাকার গোপন ইতিহাস যা আপনি জানেন না




আমরা সবাই জানি, ভারতের পতাকায় তিনটি রঙের তিনটি অফিসিয়াল স্ট্রিপ রয়েছে— কেশর, সাদা এবং সবুজ। কিন্তু এই রঙগুলোর পেছনে লুকিয়ে আছে কিছু অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে।
একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, কেশর রঙটি দেশের সাহস, আত্মত্যাগ এবং শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ভগবানকেও নির্দেশ করে। সাদা রঙটি শান্তি, সততা এবং একতাকে প্রতীক করে। অন্যদিকে, সবুজ রঙটি বৃদ্ধি, উর্বরতা এবং সমৃদ্ধিকে নির্দেশ করে। এটি আমাদের দেশের পল্লী অঞ্চল এবং কৃষিকাজের প্রাধান্যকেও ইঙ্গিত করে।
ভারতের পতাকার শিরোভাগে একটি চরখা রয়েছে, যা চর্তু দেবস্য প্রতিপদী তুয়ে নামে পরিচিত। এটি আইন, ন্যায় এবং সততার প্রতীক। চরখার ২৪টি আকৃতি ভারতের ২৪ ঘন্টা দিন-রাত অবিরাম উন্নতি এবং কর্মপ্রবাহকে নির্দেশ করে।
ভারতের পতাকাকে প্রথম তৈরি করেছিলেন পিংগলী ভেঙ্কাইয়া। তিনি একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী, যিনি 1921 সালে মহাত্মা গান্ধীর কাছে পতাকাটির একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন। গান্ধীজি খসড়াটি পছন্দ করেছিলেন এবং কিছু সংশোধনীর পরে এটি ভারতের অফিসিয়াল পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়।
ভারতের পতাকা আমাদের দেশের গর্ব এবং সম্মানের প্রতীক। এটি আমাদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং স্বনির্ভরতার কাহিনী বলে। প্রতিবার যখন আমরা পতাকাটি উড়তে দেখি, তখন আমাদের দেশপ্রেমের প্রতিশ্রুতিটি মনে রাখা উচিত এবং আমাদের দেশকে সর্বদা উন্নত এবং সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করা উচিত।
  • আপনি কি জানতেন? ভারতের পতাকাটি ভারতীয় আকাশবানীর সুরের সাথে খুব সুন্দরভাবে সিঙ্ক করে।
  • একটি মজার তথ্য: চরখার ২৪টি আকৃতির প্রতিটিতে একটি বিভিন্ন অর্থ রয়েছে।
  • আরেকটি আকর্ষণীয় তথ্য: ভারতের পতাকাটির শুধুমাত্র একটি দিক রয়েছে।
আমাদের ভারতের পতাকার এই গোপন ইতিহাসকে জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের দেশের প্রতি আমাদের গর্ব এবং প্রশংসাকে আরও দৃঢ় করে। প্রতিবার যখন আমরা পতাকাটি উড়তে দেখি, আসুন আমরা সেই সাহসী এবং দৃঢ়নিশ্চয়ী ব্যক্তিদের স্মরণ করি যারা আমাদের এই স্বাধীনতা এবং গৌরব এনে দিয়েছেন।