ভারতের সর্বনিম্ন মজুরি জীবনযাত্রার মজুরিতে উন্নীত হওয়া




আমরা প্রায়শই শুনি যে ভারতের সর্বনিম্ন মজুরি জীবনযাত্রার মজুরির চেয়ে অনেক কম। কিন্তু জীবনযাত্রার মজুরি আসলে কী? এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জীবনযাত্রার মজুরি হল সেই মজুরি যা কোন ব্যক্তিকে তার জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় বেসিক জিনিসগুলি সরবরাহ করতে পারে, যেমন খাদ্য, গৃহকর্ম, পরিবহন এবং শিক্ষা। এটি কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের চেয়ে বেশি জীবনযাত্রার একটি মানের পরিমাপ।
জীবনযাত্রার মজুরি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিশ্চিত করে যে কর্মীরা তাদের এবং তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ করতে সক্ষম, একটি শালীন জীবন যাপন করতে এবং অসুস্থতা বা বেকারত্বের মতো দুর্ঘটনাগুলির জন্য সঞ্চয় করতে পারে।
দুর্ভাগ্যবশত, ভারতে সর্বনিম্ন মজুরি প্রায়শই জীবনযাত্রার মজুরির চেয়ে অনেক কম। এর অর্থ হল যে অনেক কর্মীকে তাদের পরিবারের সাথে শেষ মেশ করতে হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, 2021 সালে ভারতের জাতীয় সর্বনিম্ন মজুরি ছিল প্রতিদিন 460 টাকা। তবে ভারতের জাতীয় নগরী ইনস্টিটিউট অনুমান করেছে যে, একটি পরিবারকে দিল্লিতে শালীনভাবে জীবনযাপন করতে মাসিক 25,000 টাকা প্রয়োজন। এর মানে হল যে, ন্যূনতম মজুরি পাওয়া একজন কর্মীকে তাদের পরিবারের ভরণপোষণ করতে মাসে প্রায় 150 দিন কাজ করতে হবে।
এটি একটি বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নয়, বিশেষ করে যখন আপনি প্রতিদিনের যাতায়াত, চিকিৎসা বিল এবং শিক্ষা খরচের মতো অন্যান্য খরচ বিবেচনা করেন।
ফলস্বরূপ, অনেক কর্মীকে তাদের পরিবারের সাথে শেষ মেশ করতে হচ্ছে।
এই অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য আমাদের সরকারকে ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে হবে। জীবনযাত্রার মজুরি সরকার নির্ধারণ করুক না কেন, মজুরি অন্তত জীবনযাত্রার মজুরির সমান হওয়া উচিত।
এটি কেবল নৈতিকভাবেই সঠিক নয়, এটি অর্থনীতির জন্যও ভালো। যখন কর্মীদের তাদের পরিবারকে ভরণপোষণ করতে পারে, তখন তাদের আরও অর্থ খরচ করার সম্ভাবনা থাকে, যা অর্থনীতিকে উন্নীত করতে সহায়তা করতে পারে।
আমি আশা করি যে আমাদের সরকার এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য পদক্ষেপ নেবে এবং ভারতের সর্বনিম্ন মজুরিকে জীবনযাত্রার মজুরিতে উন্নীত করবে।