ভারতীয় হকি জগতে এক নাম, এক কাহিনী, এক অনন্য ঐতিহ্য। হকির প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে প্রায় একশত বছরেরও বেশি সময় ধরে সে দেশের জন্য অসংখ্য সাফল্য ও গৌরব এনেছে।
হকির স্বর্ণযুগ১৯২৮ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে ভারতীয় হকি দল তার স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করে। এই সময়ে তারা সাতবার অলিম্পিক গোল্ড মেডেল জিতেছিল, যা আজও একটি বিশ্ব রেকর্ড। সেই দলের তারকারা ছিলেন ধ্যান চাঁদ, রূপ সিং, বালবীর সিংহ এবং পৃথিপাল সিং।
ধ্যান চাঁদকে "হকির জাদুকর" নামেও ডাকা হত। তার বল নিয়ন্ত্রণ ও ড্রিবলিং দক্ষতা ছিল অসাধারণ। তিনি ভারতীয় হকির সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ছিলেন, যিনি ১৯২৮, ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ সালে অলিম্পিকে দলকে স্বর্ণপদক জিতিয়েছিলেন।
পতনের যুগ১৯৬০-এর দশকে ভারতীয় হকির শ্রেষ্ঠত্ব হ্রাস পেতে শুরু করে। পাকিস্তান এবং জার্মানি হকির নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ১৯৬০ রোম অলিম্পিকে ভারত প্রথমবারের মতো অলিম্পিক ফাইনালে হেরেছিল।
পুনরুত্থানের পথ১৯৭০-এর দশকে ভারতীয় হকি আবার পুনরুত্থানের পথে চলতে শুরু করে। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ভারত রানার্স-আপ হয়েছিল এবং ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকে তারা স্বর্ণপদক জিতেছিল।
পরবর্তী বছরগুলিতে, ভারতীয় হকি তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সংগ্রাম করে। তবে তাদের কর্মক্ষমতা সাম্প্রতিক সময়ে উন্নতি অব্যাহত রয়েছে এবং তারা ২০১৬ এবং ২০২১ অলিম্পিকে পদক জিতেছে।
হকির ভবিষ্যতভারতীয় হকির ভবিষ্যত উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। দেশে হকির জন্য একটি শক্ত ভিত্তি রয়েছে এবং তরুণদের মধ্যে খেলাটি জনপ্রিয় হচ্ছে।
মানিকা বান্ড্রা, সালমা আনাম, রানি রামপালের মতো খেলোয়াড়রা ভারতীয় নারী হকির ভবিষ্যতের আশা। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতা লাভ করেছেন এবং তারা আগামী বছরগুলিতে ভারতের জন্য আরও গৌরব অর্জন করতে পারেন।
একটি শেষ কথাভারতীয় হকি হোক প্রবল দিন বা দুর্বল দিন, এটি সবসময় দেশের গর্বের বিষয় হয়ে রয়েছে। এটি একটি খেলা যা ভারতীয়দের জাতীয়তা ও দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
আমরা আশা করি যে ভারতীয় হকি তার সফলতা অব্যাহত রাখবে এবং আসন্ন বছরগুলিতে আরও গৌরব অর্জন করবে।