আমি ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের অনুরাগী ছিলাম। আমার প্রিয় দল ছিল ভারত। আমি কখনো ভাবিনি যে আমার জীবনে সেই দলটিকে খেলতে দেখার সুযোগ পাবো।
২০१৯ সালের বিশ্বকাপের সময় আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের টিকিট কিনে আমি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই গোটা স্টেডিয়াম পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সমর্থকরা দু'দলেরই সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমার হৃদপিণ্ড দ্রুত গতিতে স্পন্দিত হচ্ছিল।
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর বায়ুমণ্ডল আরো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠল। ভারতের পক্ষে ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান। উভয়েই ভালো ব্যাটিং করছিলেন।
কিন্তু পাকিস্তানের দ্রুতগতির বোলার শাহিন আফ্রিদি রোহিত শর্মাকে আউট করে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন। এরপর ভারতের উইকেট পড়তে লাগল নিয়মিত।
একপর্যায়ে ভারতের ব্যাটিং ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দুর্দান্ত ব্যাটিং সবাইকে চমকে দিয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত ভারত ৩৩৬ রান করে। এটা ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর।
পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে ভারতের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক চাহার এবং কুলদীপ যাদব মিলে ৯টি উইকেট শিকার করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ১৬৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারত ৮৯ রানে জয়ী হয়েছে।
ভারতের জয়ের পর স্টেডিয়ামে আনন্দের হৈচৈ। ভারতীয় সমর্থকরা নাচগান করছিলেন, পাকিস্তানি সমর্থকরাও তাদের দলের সাহসিকতার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোর একটি। আমি কখনো ভুলবো না সেই উত্তেজনা, সেই আবেগ।