ভারত বনাম আফগানিস্তান ফুটবল: এক দুর্দান্ত লড়াইয়ের গল্প




একটি গরম গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়, যখন সূর্য আকাশের দিগন্ত রেখায় বিলীন হচ্ছিল, তখন একটি স্টেডিয়ামের উত্তেজিত বাতাস কেঁপে উঠল দর্শকদের উচ্ছ্বাসে। কারণ ছিল সান্নিধ্য। ভারত এবং আফগানিস্তানের দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল তাদের ফুটবল ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।

আমি স্টেডিয়ামের কনকোর্সে ছিলাম, দলগুলো মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। উত্তেজনা হাতছাড়া হওয়ার মতো ছিল, বাতাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। ভারতীয় দলটি তাদের নীল জার্সিতে দুর্দান্ত দেখাচ্ছিল, তাদের চোখে জয়ের প্রত্যয়। আফগানিস্তানের দলটি সবুজ জার্সিতে ততটাই দৃঢ় সংকল্পী দেখাচ্ছিল, তাদের মুখে জাতীয় গর্ব।

ম্যাচ শুরু হতেই, দুটি দলই সবকিছু দিয়ে খেলল। বল খেলোয়াড়দের পায়ের মধ্যে এক দিক থেকে অন্য দিকে যাচ্ছিল, যেন এটি একটি উড়ন্ত উল্কাপিণ্ড। দর্শকরা তাদের জায়গা থেকে লাফিয়ে উঠছিল, তাদের দলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছিল।

  • ভারত প্রথম গোলটি করল, স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী একটি দুর্দান্ত শটে বলকে জালে পাঠালেন।
  • আফগানিস্তান পিছু ছাড়লো না, তাদের স্ট্রাইকার ফজল ফাজলি গোল করে তাদেরকে সমানে এনে দিলেন।
  • আধা সময় বিরতির পর, ভারত আবার সামনে চলে এল, এইবার মিডফিল্ডার উদান্তা সিং একটি দূরপাল্লার শটে গোল করলেন।

যখন ম্যাচ শেষ হওয়ার কাছাকাছি আসছিল, তখন আফগানিস্তান আবার সমতা এনে দিল। স্ট্রাইকার মোহাম্মদ হামিদ একটি শক্তিশালী হেডারে গোল করলেন।

এখন ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছিল, উভয় দলই জয়ের জন্য অধীর। কিন্তু এ জয়ের দাবিদার ছিল ভারত। সাবস্টিটিউট স্ট্রাইকার লিস্টন কولاয়াসো দুর্দান্ত স্টাইলে জয়ী গোলটি করলেন।

স্টেডিয়াম বিস্ফোরিত হয়ে উঠল উচ্ছ্বাসে। ভারত জিতেছে, আফগানিস্তানকে হারিয়েছে। দর্শকরা তাদের দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল, খেলোয়াড়রা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে উদযাপন করছিল।

আমি মাঠের পাশেই ছিলাম, বিজয়ী দলের সঙ্গে উচ্ছ্বাস ভাগ করে নিচ্ছিলাম। এটি একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত ছিল, এমন একটি মুহূর্ত যা আমি কখনই ভুলব না। ভারত এবং আফগানিস্তানের দুটি সাহসী দলকে অভিনন্দন। তারা একটি দুর্দান্ত লড়াই উপহার দিয়েছে, যা আমাদেরকে ফুটবলের সত্যিকারের প্রেমের স্বাদ দিয়েছে।

এই ম্যাচ শুধু একটি খেলা ছিল না। এটি ছিল দুটি দেশের মধ্যে একটি বন্ধনের প্রতীক, এবং প্রমাণ করেছে যে ফুটবল সীমানা ভাঙতে পারে এবং মানুষকে একত্রিত করতে পারে।