ভারত ও চীনের হকি খেলা একটি চিরাচরিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা বিশ্বজুড়ে অনুরাগীদের উত্তেজিত করে তোলে৷ কয়েক দশক ধরে দুটি দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছে, উচ্চ-অকটেনের খেলা এবং দৃশ্যত সীমাহীন দক্ষতার প্রদর্শন করেছে।
ভারত প্রতিভাশালী খেলোয়াড়দের একটি পুল থেকে গর্ব করে যা বছরের পর বছর ধরে দুর্দান্ত ফলাফল অর্জন করেছে। দলটি তার দ্রুতগতির, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বল দখলে নির্ভর করে একটি আক্রমণাত্মক পরিচয়ের জন্য পরিচিত। পিআর श्रीजেশ এবং হরমানপ्रीত সিংহের মতো তারকা খেলোয়াড়দের একটি মিশ্রণের সাথে, ভারত এশিয়া এবং বিশ্বের সবচেয়ে সফল দলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্থান অর্জন করেছে।
চীনা দল সয়ংক্রিয়তা এবং ইউনিভার্সাল ক্ষেত্রের উপর জোর দেওয়ার সাথে একটি আলাদা পদ্ধতির অনুসরণ করে। দলটি তার শক্তিশালী প্রতিরক্ষা এবং সুসংহত মধ্যমাঠের জন্য পরিচিত। সামনের দিক থেকে, চীন চেন আও ইউ এবং কুও বিনের মতো দ্রুতগতির খেলোয়াড়দের একটি শক্তিশালী শ্রেণীর উপর নির্ভর করে।
ভারত এবং চীন উভয় দলেই একাধিক উদীয়মান তারকা রয়েছে যারা খেলাটিকে আরও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলছে। ভারতের জন্য, শিলানন্দ লাকড়া এবং জুগ্রাজ সিংহের মতো খেলোয়াড়রা তাদের অসামান্য দক্ষতা দিয়ে প্রভাব ফেলেছেন। চীনের পক্ষে, মেনগুয়ান কুই এবং জু কিয়াং অনেক প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে।
ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত এফআইএইচ প্রো লিগে ভারত ও চীনের মধ্যে সবশেষ ম্যাচটি হয়েছিল। একটি ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগিতায়, ভারত 2-1 গোলে জয়লাভ করেছিল। ম্যাচে ভারতের হয়ে গুরুদীপ সিং এবং রুপিন্দর পাল সিং গোল করেন, যখন চীনের হয়ে শি হু মাত্র একটি গোল করেন।
ভবিষ্যতে ভারত এবং চীনের মধ্যে আরও অনেক থ্রিলার ম্যাচ আশা করা হচ্ছে৷ দুটি দলই নিরলসভাবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং নিজেদের সীমার প্রসারিত করার চেষ্টা করছে। যেহেতু উভয় দলই আসন্ন অলিম্পিক গেমস এবং এফআইএইচ হকি বিশ্বকাপের লক্ষ্য রেখেছে, তাই তাদের প্রতিটি ম্যাচই জয়ের জন্য একটি লড়াই হতে চলেছে।