বীরেন্দ্র সহওয়াগ, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির সংগ্রামের কথা মনে পড়ে? মনে আছে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে যখন ধোনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়সূচক ছক্কা মেরেছিলেন? বা গাঙ্গুলি যখন ভক্তদের স্ট্যান্ডে জার্সি ঝুলিয়েছিলেন? ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এই মুহূর্তগুলি স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আর এইসব মুহূর্তের পরই আসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের হৃদয়বিদারক হার।
শনিবার, ব্রিসবেনের গাব্বায় ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে। এই হার শুধুমাত্র একটি ম্যাচ নয়, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। কারণ, ভারত এই ম্যাচটি জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারত। কিন্তু তা হলো না।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি নিশ্চয়ই আপনার মনে থাকবে। সেই ম্যাচে জহির খানের নিখুঁত ইনসুইঙ্গারে হ্যাশিম আমলা বোল্ড হয়েছিলেন এবং ভারত জয়ী হয়েছিল। সেই ম্যাচের জয়ভাবটি আজও রোমাঞ্চের সঙ্গে মনে পড়ে। কিন্তু এই ম্যাচে সেরকম কিছুই হলো না।
এই ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি বিফল। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলারদের গতিতে হিমশিম খেয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়াররা। একমাত্র সূর্যকুমার যাদবই কিছুটা রান তুলে দলকে লড়াই করতে সাহায্য করেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। কাগিসো রাবাডা, এনরিখ নোর্জে এবং লুঙ্গি এনগিডি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের শেষ করেছে।
এই হারের জন্য কে দায়ী? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বৃথা। কারণ, এই হার একটি দলের নয়, গোটা দেশের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।
আমরা ভুলবো না, ভারতীয় ক্রিকেট দল একটি শক্তিশালী দল। তাদের কাছে প্রতিভা আছে, দক্ষতা আছে। তবে, এবার তাদেরকে তাদের সেরাটা দিতে হবে। তাদেরকে ফিরে আসতে হবে। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা তাদের দলকে আবার জিততে দেখতে চান।